মা মারা গেছেন হাসপাতালে। বাড়ি নিয়ে যেতে অ্যাম্বুলেন্স দাবি করছে অনেক ভাড়া। যা দেয়ার ক্ষমতা নেই ছেলের। তাই নিজেই মায়ের মরদেহ কাঁধে নিয়ে রওয়ানা দিলেন বাড়ির দিকে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) এমনই হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে ভারতের জলপাইগুড়িতে। এসময় ছেলের পাশে ছিলেন বাবা।
সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, জলপাইগুড়ির ক্রান্তি ব্লকের নগরডাঙ্গি এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মীরানি দেওয়ান। তাকে ভর্তি করানো হয়েছিল জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। ছেলে রামপ্রসাদের অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা ৩ হাজার রুপি ভাড়া দাবি করছিলো। এতো টাকা দেয়ার ক্ষমতা নেই আমাদের। অনেকবার অনুরোধ করার পরও তারা ভাড়া কমাতে রাজি হয়নি। তাই বাবা ও আমি মিলে মা’কে কাঁধে নিয়েই বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দেই।
এমন ঘটনা জানতে পেরে সেখানে পোঁছে যায় জলপাইগুড়ির একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন। তারা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে পৌঁছে দেয় পরিবারটিকে।
এদিকে জলপাইগুড়ি জেলার অ্যাম্বুলেন্স সংগঠনের সম্পাদক দিলীপ দাসের দাবি, গোটা বিষয়টিই ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাজানো ঘটনা।
এ বিষয়ে জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের সুপার কল্যাণ খাঁ বলেন, এটি একটি অমানবিক ঘটনা। এমন ঘটনা ঘটার কথা নয়। গরীবদের জন্য সরকারিভাবে বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু আছে। তারা হয়তো সেটা কোনোভাবে সেটা বুঝতে না পেরে মরদেহ কাঁধে নিয়ে হাঁটা শুরু করেছেন।
এটিএম/
Leave a reply