ব্রাজিলের পার্লামেন্ট, সুপ্রিম কোর্ট ভবন এবং প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে তাণ্ডব চালালো সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান জেইর বোলসোনারোর সমর্থকরা। পুলিশের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে পরিস্থিতি। খবর রয়টার্সের।
রোববার (৮ জানুয়ারি) রাজধানী ব্রাসিলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় অতর্কিত হামলা চালায় কট্টর ডানপন্থিরা। জাতীয় পতাকা নিয়ে পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে-ছাদে অবস্থান নেয়। এসময় স্পর্শকাতর স্থাপনায় চালানো হয় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ। কোনোভাবেই নির্বাচনে জেইর বোলসোনারোর পরাজয় মেনে নিতে তারা নারাজ।
তাদের অভিযোগ, কারচুপি-জালিয়াতির মাধ্যমে ভোটে জয় পেয়েছেন লুলা ডি সিলভা। অবিলম্বে- সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দখলের পাশাপাশি প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারগ্যাস ছোড়ে নিরাপত্তা বাহিনী। এলোপাতাড়ি লাঠিপেটা এবং ধরপাকড় চালায়।
এরইমধ্যে, কেন্দ্রীয় সুরক্ষা সতর্কতা জারি করেছেন নতুন প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা। তিনি একে ফ্যাসিস্টদের বর্বরতা বলে আখ্যা দেন। হুঁশিয়ার করেছেন, প্রত্যেকে উপযুক্ত শাস্তি পাবেন।
লুলা বলেন, এটা স্পষ্টভাবে জন-নিরাপত্তার ওপর হস্তক্ষেপ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সুরক্ষা সতর্কতা জারি করা হলো। যেকোন মূল্যে ব্রাজিলে শান্তি ফেরানো হবে। খতিয়ে দেখবো কারা বিক্ষোভকারীদের ইন্ধন যুগিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এতো বড় নাশকতার পেছনে যে বা যারা অর্থ যোগান দিয়েছে, কড়ায়গণ্ডায় তাদের চুকাতে হবে মূল্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছে গণহত্যা চালানোর উসকানি।
এটিএম/
Leave a reply