বিপিএলে কাটলো রানের খরা, একই ম্যাচে এলো দুই সেঞ্চুরি

|

একই ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি! প্রথমটি এনে দিয়েছিলো বড় স্কোরের স্বস্তি, আর পরেরটি এনে দিলো দারুণ এক জয়! খুলনা টাইগার্সের হয়ে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করা পাকিস্তানি ব্যাটার আজম খানের ৫৮ বলে ১০৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংসকে ম্লান করে চট্টগ্রামকে দারুণ এক জয় এনে দিলেন আরেক পাকিস্তানী ব্যাটার উসমান। এর সুবাদে এলো এবারের বিপিএলের প্রথম দুই সেঞ্চুরি। দুটি সেঞ্চুরিই আবার একই ম্যাচে!

সোমবার (৯ জানুয়ারি) মিরপুরে দিনের ২য় ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে খুলনাকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ব্যাট করতে নেমে সারজিল খান ও হাবিবুর রহমান সোহান দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফিরে গেলে তামিম ইকবালের সাথে দলের হাল ধরেন প্রথমবারের মতো বিপিএল খেলতে আসা পাকিস্তানি ব্যাটার-উইকেট কিপার আজম খান। তামিমের সাথে মিলে ভক্তদের উপহার দেন চোখে লেগে থাকার মতো এক ইনিংস। ৫৮ বলে ৯টি চার ও ৮টি ৬ এর সুবাদে খুলনার স্কোরবোর্ডে আজম যোগ করেন অপরাজিত ১০৯ রান। অপরদিকে, ৩৭ বল খেলে ৭টি চার ও ১টি ৬ এর সুবাদে তামিম খুলনার স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ৪০ রান। আজমের মাস্টারব্লাস্টার ইনিংসের সুবাদে চট্টগ্রামকে ১৭৯ রানের লক্ষ্য দেয় খুলনা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে উসমান খান ও ম্যাক্স প্যাট্রিকের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে উড়ন্ত সূচনা পায় চট্টগ্রাম। ৫৮ বলে ১০টি ৪ ও ৫টি ৬ এর সুবাদে ম্যাচের ও এবারের বিপিএলের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি করেন চট্টগ্রামের ওপেনার উসমান খান। এ সময় যোগ্য সাহচার্য পেয়েছেন অপর ওপেনার ম্যাক্স প্যাট্রিকের থেকে। ম্যাক্সও একদম নিষ্ক্রিয় ছিলেন না। ৫০ বলে ৫টি ৪ ও ৩টি ৬ এর সুবাদে দলের স্কোরবোর্ডে তিনি যোগ করেন আরও ৫৮ রান। ১৫তম ওভারের শেষ বলে ম্যাক্স আউট না হলে হয়তো একেবারে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়তেন তিনিও। তিনি আউট হবার পর আফিফ আসেন ব্যাটিং করতে; যদিও তাকে মোটেও তেমন চাপ নিতে হয়নি। কারণ, স্ট্রাইকএন্ড থেকে উসমানের ব্যাটে তখনও আগুন ধরছিলো।

এবারের বিপিএলের প্রথম শতকটি এলো আজম খানের ব্যাট থেকে। এটি পাকিস্তানি এ পাকিস্তানি মিডল অর্ডার ব্যাটারের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারেরও প্রথম শতক। যদিও তার শতককে কিছুটা ম্লান করেই পাল্টা শতক হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছেন আজমেরই স্বদেশি উসমান খান।

এর আগে, পাকিস্তানের হয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি মিলিয়ে এ পর্যন্ত মাত্র তিনটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন আজম। যার দুটিতে ব্যাট হাতে নেমে করেছেন মোটে (৫*+১) ৬ রান। আর, বিভিন্ন ঘরোয়া ও টি টোয়েন্টি লিগ মিলিয়ে আজকের অপরাজিত ১০৯ রান তার ক্যারিয়ার বেস্ট সর্বোচ্চ স্কোর।

অপরদিকে, এখনও পাকিস্তানের জার্সি গায়ে না খেলা উসমানের খানের টি টোয়েন্টি ক্যারিয়ারেরও সেরা ইনিংস এখন পর্যন্ত এটিই।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply