রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (রাসিক) কাউন্সিলর পদে রয়েছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী। নিজ দলেরই নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে জয়ী হতে লড়ছেন তারা। এতে ওয়ার্ড পর্যায়ের দলীয় কর্মী-সর্মথকদের মধ্যে বিভক্তির সুর দেখা দিয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে দলীয় প্রতীকে মেয়র পদের প্রচারণায়ও। যদিও দলের সিনিয়র নেতাদের দাবি, দলীয় প্রতীকে ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে থাকবে না কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব।
সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬০ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৭২ ও বিএনপির ৬৪জন রয়েছেন।
বড় দুইদলে প্রার্থিতা নিয়ে প্রতিযোগিতা থাকলেও ১৪টি ওয়ার্ডে নিবন্ধনহীন জামায়াতের একক প্রার্থী ১৪ জন। ওয়ার্কাস পার্টি ও সিপিবির দুই আর নির্দলীয় প্রার্থী ৮জন। ভোটযুদ্ধে জয়ী হতে বিরামহীন প্রচারণা চালাচ্ছেন তাদের। বিভিন্ন সংস্থার হিসেবে ৬টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
৫২ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের মধ্যে ২ জন জামায়াতের। সেখানেও অধিকাংশ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর ছড়াছড়ি।
মেয়র নির্বাচন নিয়ে দলের শীর্ষ নেতারা ব্যস্ত থাকায় দলীয় অনুসারীদের সাথে নিয়ে নিজেদের মতো করে প্রচারণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কাউন্সিলররা।
বিভিন্ন জরিপের তথ্যে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমান সংখ্যক ১৩টি করে ২৬টি এবং জামায়াতের ৩টি ওয়ার্ডে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Leave a reply