গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
মসজিদ উন্নয়নের বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের সংবাদ প্রকাশ করায় ঢাকাপোস্টের সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার ও গাইবান্ধা প্রতিনিধি রিপন আকন্দের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন গাইবান্ধার সাংবাদিকরা।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা শহরের ডিবি রোডে প্রেসক্লাব গাইবান্ধার ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন কর্মসূচিতে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাব্বির মিথ্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছেন। তিনি মসজিদের নামে সরকারি বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎ করবেন আবার সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলাও করবেন, এটা মানা যায় না।
বক্তারা আরও বলেন, চেয়ারম্যান মোসাব্বির ‘গরু চোরদের গডফাদার’ হিসেবে পরিচিত। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই চুরি, মাদক ও জুয়াসহ বিভিন্ন অপকর্মের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। ২০২১ সালের একটি হত্যা মামলার জেলখাটা আসামিও তিনি।
মানববন্ধন থেকে প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সহ-সভাপতি রবিন সেনের নামে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের জামাতার মিথ্যা মানহানির মামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান বক্তারা। এ সময় তারা চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের নানা দুর্নীতি-লুটপাটের ঘটনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ দুদকের তদন্তের দাবি জানান।
ঘণ্টাবাপী অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। এসব মামলা প্রত্যাহার না হলে ঐক্যবদ্ধভাবে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
এর আগে, গত ১৬ নভেম্বর “ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে ঢাকাপোস্ট। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৮ জানয়ারি ঢাকাপোস্টের সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার ও গাইবান্ধা প্রতিনিধি রিপন আকন্দের নামে চাঁদাবাজি ও আইসিটি আইনে রংপুর সাইবার আদালতে মামলা দায়ের করেন চেয়ারম্যান মোসাব্বির।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) সাধারণ দ্বিতীয় পর্যায়ে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের রোস্তমের মোড়ে অবস্থিত নূরে রহমত জামে মসজিদ উন্নয়নে বরাদ্দ হয় ৫৫ হাজার টাকা। অথচ মসজিদ কমিটির হাতে মাত্র ১৪ হাজার টাকা দিয়ে বাকি ৪১ হাজার টাকা প্রকল্প সভাপতি মহিলা সদস্যের স্বামী মাহবুর রহমান, ছয় ইউপি মেম্বরসহ ভাগবাটোয়ারা করেন চেয়ারম্যান মোসাব্বির।
/এসএইচ
Leave a reply