বিপিএলের নবম আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে হেসে খেলে ৬ উইকেটে হারিয়ে এবারের আসরের প্রথম জয় তুলে নিলো ফরচুন বরিশাল। তবে সবকিছু ছাপিয়ে আবারও আলোচনার শীর্ষে সাকিব। বরিশালের ইনিংস শুরুর কিছুক্ষণ আগেই মাঠে ঘটে এক বিতর্কিত ঘটনা। হঠাৎ করেই মাঠে ঢুকে পড়েন সাকিব। যার জন্য কিছুক্ষণ খেলা বন্ধও থাকে।
সাকিবের মাঠ থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরই শুরু হয় বরিশালের ইনিংস। দলীয় ১৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনার আনামুল এবং চতুরাঙ্গার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে তারা। যদিও আনামুলের আউট নিয়ে ছিল বিতর্ক। কিন্তু এরপরই ৮৫ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম জাদরান এবং মেহেদি হাসান মিরাজ। দলীয় ১০৩ রানে ব্যক্তিগত ৪৩ রান করে আউট হন মিরাজ। এরপর দলীয় ১২৪ রানে ব্যক্তিগত ৫২ রানে ইব্রাহীম আউট হলে কিছুটা চাপে পড়ে বরিশাল। তবে করিম জান্নাত এবং ইফতিখার আহমেদের দারুণ ফিনিশিংয়ে ৬ উইকেটেই জয়ের বন্দরে পৌছায় তারা।
এর আগে, মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে রংপুর। ইনিংসের প্রথম বলেই সাকিবের স্পিন ঘূর্ণিতে উইকেটরক্ষক আনামুল হক বিজয়ের হাতে তালুবন্দি হন নাঈম শেখ। শুরুর ধাক্কা কিছুটা সামলে ওঠার আগেই বিদায় নেন শেখ মাহেদী হাসান। ৭ বলে ৬ রান করে এবাদত হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে সাঝঘরে ফেরেন মাহেদী। সিকান্দার রাজা এসেও প্রতিরোধ গড়তে পারেননি বরং, আসা যাওয়ার মিছিলে তিনিও সামিল হন। ৭ বলে ২ রান করে ডি সিলভার বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রাজা। ৪৩ রানে ৩ উইকেটের পতনে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর রাইডার্স।
ওপেনার রনি তালুকদারকে নিয়ে শুরুর বিপর্যয় সামলান পাকিস্তানি ব্যাটার শোয়েব মালিক। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত অর্ধশতক পাওয়া রনি তালুকদার এই ম্যাচেও ২৮ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন। এরপর আবার আসা যাওয়ার মিছিলে সামিল হয় রংপুরের ব্যাটাররা। তবে, এক প্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন শোয়েব মালিক। শেষ পর্যন্ত ৫টি চার ও ২টি বিশাল ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে ৫৪ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন মালিক।
শোয়েব মালিকের ব্যাটের উপর ভর করেই নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে রংপুর রাইডার্স। ফরচুন বরিশালের হয়ে ২টি করে উইকেট পান ডি সিলভা ও মেহেদী মিরাজ এবং ১টি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান, করিম জানাত এবং এবাদত হোসেন।
/আরআইএম
Leave a reply