প্রিন্স হ্যারির স্মৃতিকথামূলক বই ‘স্পেয়ার’ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। বইটিতে উঠে এসেছে ব্রিটিশ রাজপরিবারের অনেক কথা। অবশ্য সেসবের সত্যতা নিয়েও রয়েছে বিস্তর সন্দেহ। গত ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে এই আলোড়ন সৃষ্টিকারি বই। তার আগে বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে হ্যারি তার বইটি নিয়ে কথা বলেছেন। সেখানে উঠে আসা বিষয়গুলোর মাঝে কয়েকটি নিয়ে এরইমধ্যে রাজ পরিবার সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকদের মন্তব্যে এসেছে, ডিউক অব সাসেক্স হয়তো ভুলভাবে তুলে ধরেছেন কয়েকটি ঘটনা। অনুমিতভাবেই হ্যারির সাক্ষাৎকারে এসেছে তার মা প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর ঘটনা। আর প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন হ্যারি। খবর ফক্স নিউজের।
গত ৮ জানুয়ারি, ব্রিটেনের আইটিভিতে হাজির হন প্রিন্স হ্যারি। সেখানে তিনি স্বীকার করে নেন যে, তার মা প্রিন্সেস ডায়ানার বিয়োগান্তক মৃত্যুর বিষয়টি তার কাছে পরিষ্কার নয়। প্যারিসে ১৯৯৭ সালে, ৩৬ বছর বয়সে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান প্রিন্সেস অব ওয়েলস, ডায়ানা। অনেকগুলো বিষয়েরই কোনো ব্যাখ্যা নেই আমার কাছে- এমনটি বলেই হ্যারি দ্রুত যোগ করেন, এতদিন পরে সেই দুর্ঘটনার তদন্তকার্য আবার শুরু করারও কোনো যৌক্তিকতা দেখেন না তিনি। বলেন, তার মৃত্যু এখনও আমার কাছে ধোঁয়াশাপূর্ণ।
আর এরপরেই নতুন করে শুরু হয়েছে হ্যারির বই ও কথার সত্যতা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা। ব্রিটিশ রাজপরিবার সংশ্লিষ্ট গবেষক রিচার্ড ফিটজউইলিয়ামসের মতে, নিঃসন্দেহে ডায়ানার মৃত্যু হ্যারির মনে গভীর ছাপ ফেলে গেছে। কারণ, হ্যারির বয়স তখন মাত্র ১২। তিনি বলেন, আমরা জানি, ডায়ানার মৃত্যু এখনও হ্যারিকে তাড়িয়ে বেড়ায়। হ্যারি আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রশ্নেরই জবাব নেই তার কাছে। তার এমন মন্তব্যে কেবল ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকদেরই লাভ হবে; যা সত্যিই অনাকাঙ্ক্ষিত।
রিচার্ড ফিটজউইলিয়ামস আরও বলেন, প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর ১০ বছর পরেও হ্যারি ও উইলিয়াম বিশ্বাস করতেন যে, তাদের মা বেঁচে আছেন; এবং কখনো না কখনো ফিরে আসবেন। আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম এটা জেনে যে, ২৩ বছর বয়সেও হ্যারি এমনটা ভাবছেন! এই ধরনের অলৌকিক চিন্তাকে ভাবনার কোনো স্বাভাবিক কাঠামোর মাঝেই ফেলা যায় না। ডায়ানার মৃত্যুর শোকে তারা কতটা গভীরভাবে ক্ষতবিক্ষত ছিল, এবং এখনও আছে- সেটাই কেবল স্পষ্ট করে এসব কথা।
আরও পড়ুন: ‘মুকুটের জন্য ক্যামিলা লম্বা একটা খেলা খেলেছেন’; বিস্ফোরক মন্তব্য প্রিন্স হ্যারির
/এম ই
Leave a reply