ফেব্রুয়ারিতে মিলতে পারে আইএমএফের ঋণের ১ম কিস্তি

|

রিমন রহমান:

বেশ কয়েক মাস ধরেই টালমাটাল দেশের অর্থনীতি। মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। উন্নয়ন কাজেরও লাগাম টেনে ধরা হয়েছে। আর্থিক খাতের এমন টানাপোড়েনে এগিয়ে এসেছে ঋণদাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে আন্তর্জাতিক এই সংস্থা। কোনো সমস্যা না হলে আগামী ফেব্রুয়ারিতেই ঋণের প্রথম কিস্তির অর্থ পাবে সরকার।

তবে শেষ সময়ে আর্থিক খাতের সংস্কার উদ্যোগ পর্যবেক্ষণে ঢাকায় আসছেন সংস্থাটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বললেন, শর্ত পরিপালনে কাজ শুরু করেছে সরকার।

সার্বিক দিক পর্যালোচনা করতে গত বছরের অক্টোবরে ঢাকায় আসে আইএমএফ এর প্রতিনিধি দল। দুই সপ্তায় ঢাকায় অবস্থান করে দলটি আর্থিক খাতের সংস্কারের একধিক শর্ত জুড়ে দেয়। মুদ্রা ব্যবস্থাপনা, রাজস্ব খাত, আর্থিক খাতের সুশাসনসহ কয়েকটি দিক সামনে আসে। ওই সফরের দুই মাসের মাথায় আবারও আসছে সংস্থাটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আগামী ১৪ থেকে ১৮ জানুয়ারি ৫দিন ঢাকায় অবস্থান করে ঋণ শর্ত পরিপালনের বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করবেন তিনি। প্রশ্ন হচ্ছে কতোটা প্রস্তুত সরকার?

এম এ মান্নান বলেন, সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত। আইএমএফের সঙ্গে কথা চালাচালি তো দুই সপ্তাহ ধরে হয়নি; ছয় মাস ধরে হচ্ছে। তারাও তৈরি, আমরাও তৈরি। অবশ্যই সংস্কার শুরু হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে আমর কেন্দ্রীয় ব্যাংক, কৃষি ঋণের বিষয়ে দেখেছি; নানা জায়গায় ছোট ছোট কাজের মধ্যে বড় বড় বার্তা আছে।

সবকিছু ঠিক থাকলে ৬টি কিস্তিতে মিলবে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণের অর্থ। প্রথম কিস্তি ছাড় হবে আগামী সাসে। যার পরিমাণ ৪৫ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। বলা হচ্ছে, অভ্যন্তরীণ নানা খাতে দৃশ্যমান উন্নতি দরকার।

সেন্টার ফর পলিসি (সিপিডি) ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ সঞ্চয় বাড়াতে হবে। রিজার্ভের ওপর ঋণ পরিষেবার চাপ বাড়বে, সেটাকে সামাল দিতে হবে। আমদানি সাশ্রয়ী যেসব পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করেছি, ক্রমান্বয়ে সেটা শিথিল করতে হবে। আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে যেসব প্রয়োজনীয়তা দেখা দেখা দিচ্ছে, সেগুলো যেনো বিবেচনায় রাখা হয়।

ক্রমান্বয়ে কমছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ। সহসায় আমদানি ব্যয় কমার তেমন লক্ষণ নেই। ফলে আর্থিক খাতের কিছুটা স্বস্তি দিতে বিদেশি সহায়তার বিকল্প নেই।

অর্থনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু ইউসুফ বলেন, উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে ৮-১০ বিলিয়ন ডলারের একটা কমিটমেন্ট কিন্তু বাজেট সহযোগিতার মধ্যে আছে। এগুলো চলে আসলে ফরেন কারেন্সির সংকট কেটে যাবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সংকটকালীন অবস্থায় ঋণ সহায়তার অর্থ ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply