সাতক্ষীরায় শিশু ধর্ষণের দায়ে আলমগীর (২৫) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলমগীর জেলার শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাটের (শিতলপুর) জব্বার গাজীর ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৮ মার্চ রাত ৯টার দিকে আসামি আলমগীর শ্যামনগর উপজেলার তাদখালী গ্রামের জনৈক ব্যক্তির দশ বছর বয়সীকে মেয়েকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে শিতলপুরের একটি ফাকা বিলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে আলমগীর মেয়েটিকে শিতলপুরের জামিলা খাতুনের বাড়ির সামনে ফেলে রেখে চলে যায়।
এ সময় জামিলা খাতুনসহ স্থানীয়রা মেয়েটিকে উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে খবর দেয়। পরে স্থানীয় মেম্বর তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় চৌকিদার চিত্তরঞ্জন গাইন বাদী হয়ে পরদিন ১৯ মার্চ সকালে শ্যামনগর থানায় আলমগীরের নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার এস আই অনিমা রানী দাশ ২০০৯ সালের ২৮ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
এ মামলায় পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি আলমগীরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে এই সাজার আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিল। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু।
Leave a reply