সিস্টেম লস চিহ্নিত না করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় জনগণের সংকট বাড়বে: বিশ্লেষকদের মত

|

মাসুদুজ্জামান রবিন:

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতির হারকে আরও একদফা উসকে দেবে, বলছেন বিশ্লেষকরা। আর ভোক্তারা বলছেন, নিয়ন্ত্রণহীন বাজারে এখন নতুন অজুহাত বিদ্যুতের বাড়তি দাম।

বৈশ্বিক অর্থিক সংকটের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করছে বাংলাদেশও। খাদ্য পণ্যসহ একের পর এক নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে। এরইমধ্যে চলতি মাস থেকে নতুন করে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো। যা আরও বেশি শঙ্কায় ফেলেছে সাধারণ মানুষকে।

গ্রাহক পর্যায়ে ৫ শতাংশ হারে মূল্যবৃদ্ধি, অন্যদিকে উৎপাদিত পণ্যের বাড়তি দরের ধাক্কা কীভাবে সামলানো যাবে, এটা নিয়েই এখন দুশ্চিন্তা তাদের।

সাধারণ গ্রাহককের পাশাপাশি সেচ, ক্ষুদ্র শিল্প, বাণিজ্যিক ও শিল্প খাতকেও এ মাস থেকে বাড়তি খরচ গুণতে হবে। বর্ধিত দাম শিল্পখাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, প্রতি মাসে যে সমন্বয়ের কথা বলা হয়েছে, সেখানে সমন্বয় যদি করা হয়, অর্থাৎ মূল্য যদি কমানো হয় তাহলে আমরা সেটিকে প্রশংসা করবো। আবার প্রতি মাসে যদি ৫ শতাংশ করে সমন্বয়ের মাধ্যমে বাড়াতে থাকে তাহলে অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নিত্যপণ্যের বাড়তি দামের কারণে মানুষের প্রকৃত আয় কমেছে। ঠিক সেই মুহুর্তে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি হবে বাড়তি বোঝা। এতে উৎপাদিত পণ্যের খরচ বেড়ে যাওয়ায় রফতানিমূখী পণ্যকে আরও বেশি প্রতিযোগীতার সম্মুখীন হতে হবে। আর সাধারণ মানুষের জীবনেও প্রভাব পড়বে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শিল্প খাতের জন্য বিকল্প সুবিধা প্রসারিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।

অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আইনুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ সরবাহে আমাদের যে সিস্টেম লস, সেটি চিহ্নিত না করে আমরা দাম বাড়াচ্ছি। তাতে জনগণের মধ্যে সংকট আরও বাড়বে। এদিকে, ডলারের দামও বাড়ছে। দুই জায়গায় মিলিয়ে প্রভাব পড়বে। ম্যাক্রো লেভেলের প্রভাব চলে আসবে।

গত ১৪ বছরে এই নিয়ে ১১ বার বাড়ানো হলো বিদ্যুতের খুচরা পর্যায়ে দাম।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply