গাড়ির নিচে চাপা পড়া নারীকে রাস্তায় টেনেহিঁচড়ে নেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত শিক্ষক মোহাম্মদ আজহার জাফর শাহ (৫৫) মারা গেছেন।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা যান তিনি। বর্তমানে তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে।
উল্লেখ্য, ২ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ এলাকায় বিকেল ৩টার দিকে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় রুবিনা আক্তার নিহত হন। নিহতের বোনজামাই মোটরসাইকেল চালক নুরুল আমিন বলেন, আমার আপার বাসা তেজগাঁও। সেখান থেকে আর এক বোনের বাসা হাজারীবাগ সেকশন এলাকায় যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হই। পরে শাহবাগ জাদুঘরের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি প্রাইভেটকার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে আপাকে গাড়িতে টেনে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত নিয়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, আমি পেছন থেকে তাকে ডাকতে ডাকতে এক কিলোমিটার চলে আসি কিন্তু সে গাড়ি থামায় না। পরে নীলক্ষেত মোড় এলাকায় আসলে আশপাশের লোকজন গতিরোধ করে চালককে গণধোলাই দেয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে আমার আপাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, আইআরের চাকরিচ্যুত শিক্ষক জাফর শাহ। ২০০৭/২০০৮ সালের দিকে নৈতিক স্খলনজনিত কারণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।
ঘটনার পর রাতে শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) শাহবাগ থানায় নিহতের ভাই জাকির হোসেন গাড়িটির চালক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত শিক্ষক জাফর শাহকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
/এনএএস
Leave a reply