সুস্বাস্থ্যের জন্য তীব্র শীতে গাজার মানুষের সাঁতার!

|

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র শীতেও দিব্বি সাঁতার কেটে বেড়াচ্ছে যুদ্ধবিদ্ধস্ত গাজার একদল মানুষ। তাদের মতে, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ্য থাকতে প্রতিদিনই সাঁতার কাটা উচিত। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকার মানুষগুলো উজ্জীবিত থেকে দিন শুরু করতে চান প্রতিনিয়ত। সে কারণে, সাঁতার হয়ে উঠেছে তাদের আশ্রয়। খবর রয়টার্সের।

সব দেশের মতোই ফিলিস্তিনের গাজা অঞ্চলে এখন শীতকাল। তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এত শীতের মধ্যেও সাঁতার কাটা থেমে নেই সেখানকার ফিটনেসপ্রেমীদের। হিমশীতল ঠান্ডা পানিতে ঢেউয়ের সঙ্গে খেলে বেড়াচ্ছেন তরুণ থেকে শুরু করে প্রবীণরাও।

এত কম তাপমাত্রার মধ্যে ১ দিনও সাঁতার বাদ দিতে রাজি নন ৪৮ বছর বয়সী হাসান কারমৌত। বরং তার মতে, শীতকালের ব্যায়াম শরীরের জন্য বেশ উপকারী ও কার্যকর। ১০ বছর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তবে নিয়মিত সাঁতার কাটার ফলে শারীরিক সব সমস্যার অবসান ঘটেছে বলে দাবি করেছেন হাসান। ৪৮ বছর বয়সী সাঁতারু হাসান কারমৌত বলেন, ২০১২ সাল থেকেই আমি একটুআধটু সুইমিং করতাম। এরপর আমার স্ট্রোক হয়। কিছুটা সুস্থ হয়ে প্রতিদিন সুইমিং করার সিদ্ধান্ত নিলাম। সমুদ্র সৈকতে দেখতাম অনেক তরুণকে সাঁতার কাটতে। তাদের সাথে আমিও যোগ দেই। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত একদিনও সুইমিং করা ছাড়িনি।

হাসান কারমৌত। ছবি: সংগৃহীত

এই পুরো সুইমিং টিমকে নেতৃত্ব দেন দেশটির সাবেক স্পোর্টস মিনিস্টার মোহাম্মদ আল মাধুন। সাঁতার কাটা ও বিভিন্ন ধরনের শরীরচর্চা শেখান ৪১ বছর বয়সী এই কোচ। মোহাম্মদ আল মাধুন বলেন, চারদিকের অরাজকতার কারণে আমরা অনেক ডিপ্রেশনে পড়ে গিয়েছিলাম। আর তাই সিদ্ধান্ত নিলাম শারিরীক সব নেগেটিভ এনার্জিগুলোকে সাঁতারের মাধ্যমে বের করে দেব। ডাক্তারদের মতে, সুইমিং করে দিন শুরু করাটা খুবই কার্যকরী। পাশাপাশি মানসিকভাবেও অনেক ফুরফুরে থাকা যায়।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত এই দেশের মানুষকে নিয়মিত সহ্য করতে হয় নিপীড়ন। ইসরায়েলি সৈন্যদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করার পথ খুঁজতে থাকে তাই সব ফিলিস্তিনি। আর, সাঁতার হয়ে উঠেছে তারই এক দারুণ উপায়।

আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ ব্যর্থতার তদন্ত প্রতিবেদন: বিস্ময়কর সব তথ্য

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply