নারীদের যৌন নির্যাতনের অপরাধে ভারতে ‘জিলাপি বাবা’র ১৪ বছরের জেল

|

ভারতের হরিয়ানার টোহানা শহরের বহুল আলোচিত ‘জিলাপি বাবা’কে যৌন নিপীড়নের অপরাধে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) রাজ্যের ফতেহাবাদ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তাকে এ কারাদণ্ডের আদেশ দেয়। খবর বিবিসির।

জিলিপি বাবা অমরপুরী আর বিল্লু রাম নামেও পরিচিত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নারীদের যৌন নিপীড়ন করে সেগুলো ভিডিও করতেন। আবার ভিডিও প্রকাশ করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে নারীদের ব্ল্যাকমেইলও করতেন। নির্যাতিত নারীরা পরিবারের কাউকে বিষয়টি জানাতেন না লজ্জায়। কিন্তু ২০১৭ সালে এক নারী পুলিশের কাছে প্রথম অভিযোগ জানান। তারপরেই গ্রেফতার হন ‘জিলিপি বাবা’।

পাঞ্জাবের মনসায় জন্ম নেয়া বিল্লু রাম আট বছর বয়সেই বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। ঘুরতে ঘুরতে সে পৌঁছায় দিল্লি, সেখানে দিগম্বর রামেশ্বর নামের এক ‘বাবা’র সঙ্গে তার দেখা হয়। এরপর সে দিগম্বরকে নিজের গুরু মেনে তার সঙ্গে উজ্জয়নে চলে যায় এবং সেখানে প্রায় দশ বছর ছিলেন তিনি।

রোজগারের আশায় পাঞ্জাব থেকে হরিয়ানার টোহানা শহরে পৌঁছে বিল্লু রাম। একটা ঠেলা গাড়িতে জিলাপি বিক্রি করতে শুরু করেন সে। কম সময়ের মধ্যেই বিল্লুর জিলিপি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অনেক মানুষ সেখানে দাঁড়িয়েও জিলাপি। খেতেন, আবার বাড়ির জন্য নিয়েও যেতেন। এই জনপ্রিয়তায় ওই ছোট শহরে নামই হয়ে যায় বিল্লুর জিলাপি।

এরপর নিজের বাড়িতেই একটা মন্দির বানায় বিল্লু রাম। ওই মন্দিরে বসেই তিনি নারীদের নানা সমস্যার কথা শুনে তার সমাধানের পথ বলে দিতেন। এই সময়েই বিল্লু রাম থেকে তিনি জিলাপি বাবা হয়ে ওঠেন। নারীরা তার কাছে সমস্যা সমাধানের আশায় এলে তাদের কৌশলে মাদক খাইয়ে তাদের নির্যাতন করতেন এই বাবারূপি ভণ্ড বিল্লু।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply