এক সাব রেজিস্ট্রারের পাহাড়সম সম্পদ। রয়েছে প্রচুর জমি, বাড়ি, নগদ অর্থ, বিদেশে লোক পাঠানোর জন্য কনসালটেন্সি ফার্ম। চলাচল করেন ৪০ লাখ টাকার গাড়িতে। তার এ আয়েশি জীবনযাপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের তথ্য সম্প্রতি ধরা পড়েছে দুদকের অনুসন্ধানে। এরইমধ্যে দায়ের হয়েছে মামলাও।
খুলনা নগরীর নিরালা আবাসিক এলাকার বিলাসবহুল একটি বাড়ির মালিক যশোরের সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী। ভবনের তিনতলায় বসবাস তার। নিচতলায় তার পরিচালনাধীন ‘উই ওপেন দ্য ওয়াল্ড ফর ইউ’ নামে একটি কনসালটেন্সি ফার্ম রয়েছে। যমুনা টিভির ক্যামেরা দেখেই প্রতিষ্ঠানটি তালাবদ্ধ করে দেয়া হয়।
এছাড়া, নগরীর শিপইয়ার্ড এলাকায় আরও একটি ভবন, জিরো পয়েন্টের কৃষ্ণনগর ফাতেমাবাগ, মদিনানগরসহ বিভিন্ন স্থানে শাহজাহান আলীর জমির সন্ধান পাওয়া গেছে। কয়রা উপজেলার জায়গিরমহলে ইটভাটাসহ জমি রয়েছে তার।
সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে চাকরিতে থাকাকালীন সময়ই দুর্নীতির মাধ্যমে শাহজাহান আলীর বিপুল অর্থ উপার্জনের তথ্য পায় দুদক। ১ কোটি ৩১ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন ও ১ কোটি ২৭ লাখ টাকার আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ, নিজ দখলে রাখার অভিযোগে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে দায়ের হয় মামলা। মামলার বাদি, দুদক যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোশাররফ হোসেন
মামলার এজাহারে উল্লেখ আছে, দুদককে ১ কোটি ২১ লাখ টাকার সম্পদ থাকার কথা উল্লেখ করলেও; তদন্তে শাহজাহান আলীর আরও বেশি সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুদক। মামলাটি তদন্তের সময় শাহাজান আলীর সাথে আর কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।
যশোর দুদকের উপ পরিচালক মো. আল আমিন বলেন, তার বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ রয়েছে। একটা হলো-জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন আর আরেকটা হলো তথ্য গোপন করা। ওনার সম্পদ আছে কিন্তু তিনি সেসবের কোনো তথ্য দেননি।
এ ব্যাপারে শাহজাহান আলীর সাথে যোগাযোগের জন্য তার বাড়িতে গেলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
/এসএইচ
Leave a reply