জিল্লুর রহমান পলাশ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
সরকারি শিশু পরিবারে বেড়ে ওঠা মা-বাবাহারা সুমি আকতার নামের একটি মেয়েকে চাকরি এবং বিয়ে দিয়েছেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল। তিনি এবং তাঁর পত্নী মুক্তি বসাক অভিভাবক হিসেবে যথাযথ দায়িত্ব নিয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন।
আজ শুক্রবার সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে গাইবান্ধা পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শাহ্ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল ফারুকসহ রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বেশ আড়ম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন হয় সুমি আকতারের বিয়ে।
তিন লাখ এক হাজার ১০১ টাকা দেনমোহরানা নির্ধারণ করে স্থানীয় কাজী মিঠু এই বিয়ের কাবিন রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করেন। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহায়ক সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাপুর উত্তরপাড়ার মঞ্জুরুল ইসলাম রিজুর সাথে বিয়ে হয় সুমির। রিজুর বাবা শামছুল হক ফায়ার ব্রিগেডে চাকরি করেন।
প্রসঙ্গত, সাত বছর বয়স পর্যন্ত রাজশাহীর বেবী হোমে লালিত পালিত হওয়ার পর ২০০৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে পিতৃ মাতৃহীন শিশু সুমি আকতারকে লালন পালনের জন্য গাইবান্ধা সরকারি শিশু পরিবারে (বালিকা) নিয়ে আসা হয়। এদিকে বর্তমানে সুমি আবু হোসেন সরকার মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
সম্প্রতি শিশু পরিবার (বালিকা) পরিদর্শনে গিয়ে জেলা প্রশাসক জানান, যোগ্য কোন প্রার্থী থাকলে তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একজনকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দিতে চান। সেখানেই তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে পারেন শিশু পরিবারে লালিত ছাত্রী ওই সুমি আকতারের কথা। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মচারি নিয়োগ পরীক্ষায় সুমি অংশগ্রহণ করে এবং পরীক্ষায় পাস করে। এরপর চলতি বছর ১১ মার্চ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অফিস সহকারী হিসেবে যোগদান করে সুমি।
Leave a reply