দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি যেন ১২০ বিঘার এক পুষ্পরাজ্য

|

সিনিয়র করেসপনডেন্ট, নাটোর:

নতুন সাজে সেজেছে নাটোরের দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি বা উত্তরা গণভবন। অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর কারণে বরাবরই পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে ঐতিহ্যবাহী এ স্থানটি। তার ওপর নবসাজ টানছে নতুন ভ্রমন পিপাসুদের। ১২০ বিঘা জমির ওপর নির্মিত রাজবাড়ির আঙ্গিনায় শোভা ছড়াচ্ছে বাহারি রঙের ফুল। চারদিকে সবুজের সমারোহ ও পাখিদের কলতানে মুখরিত রাজা, রাণীবিহীন স্থাপনাটি যেন এক পুষ্পরাজ্য!

দুপুরের পর নিঃশব্দে নেমে আসে হিম। রঙিন গালিচায় ঢাকা পড়ে যায় কারুকার্যখচিত ফটক, ইটালিয়ান মার্বেল, বেলজিয়ামের আয়না আর ইট কাঠের পাজর। কেতাবি নাম উত্তরা গণভবন। প্রায় ৩০০ বছর আগে দয়ারাম রায়ের হাতে গোড়াপত্তন হয় এটির। সময়ের রুগ্ন মলিনতা কাটাতে নতুন সাজে সাজানো হয়েছে এ পর্যটন স্পট।

এ আঙিনাতেই একসময় আলো-আঁধারিতে বেজে উঠতো ধ্রুপদী সুর; জমতো মুজরা। যৌবনহারা প্রাসাদের আনাচে কানাচে কান পাতলে আজও তার শব্দ শোনে অবাক পর্যটক। নতুন মুগ্ধতায় যোগ হয়েছে গোলাপ, গাদা, নয়নতারা, সিলভিয়া, পিটুনিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, জিনিয়াসহ ২১ প্রজাতির ফুল।

নাটোর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানান, দর্শনার্থীদের জন্য এ বছর উত্তরা গণভবনে প্রায় ২৫ হাজার ফুল গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৭৩৪ সালে প্রায় ৪২ একর জমির উপর গড়ে উঠে দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাড়িটিকে উত্তরা গণভবন হিসেবে ঘোষণা করেন।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply