বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ১০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে তামিমের সাথে দেখা করলেন লেগ স্পিনার মোহাম্মদ হাসান। হাসানের মাথায় হাত রেখে দোয়াও করেছেন তামিম। বলেছেন উপহার দেবেন একটি হেলমেট। হাসানের স্বপ্নপূরণের পথে বড় বাধা দারিদ্র্য।
বিপিএলে তখনও জয়ের দেখা পায়নি খুলনা। নিজেও রান পাচ্ছিলেন না। অনুশীলনে এসে আনমনে কিছু একটা ভাবছিলেন তামিম। হঠাৎ ভাবনায় চিড় ধরলো এক ভক্তের আগমনে। তার সাথে কথা বললেন, ছবি তুললেন এমনকি মাথায় হাত দিয়ে দোয়াও করলেন তামিম। এ কী শুধুই একজন ভক্ত? নাকি তার রয়েছে আলাদা কোনো গল্প?
লেগ স্পিনার মো. হাসান বললেন, আমি একজন লেগস্পিনার। নেটে দেশের অনেক ভালো ভালো ব্যাটারকে বোলিং করেছি। আজকে আমি ১০ কি.মি. পথ সাইকেল চালিয়ে এসেছি শুধুমাত্র তামিম ভাইয়ের সাথে দেখা করতে। আমি শৈশব থেকেই তামিম ভাইয়ের ভক্ত। তামিম ভাই আমাকে বলেছেন যে, আমাকে উনি একটা হেলমেট দেবেন।
হাসানের বিশ্বাস- তামিম তাকে দেয়া কথা রাখবেন। হয়তো সে উপহারটা হাসানের স্বপ্নকে সামনে এগিয়ে নেবে আরও অনেকখানি। তবে আপাতত সে স্বপ্নের পথে হাসানের বাধা কি?
লেগ স্পিনার মো. হাসান জানালেন, আমার বাবা মানুষের জমিতে কৃষকের কাজ করেন। আমাকে চাকরি করতে হয় পরিবারের প্রয়োজনে। আমি একজন লেগ স্পিনার, চাকরি করলেও যখনই সুযোগ পাই খেলার মাঠে চলে যাই। টানা ৩০ দিন প্র্যাকটিস করতে গেলে আমার সংসার চলবে না। ক্রিকেট খেলার মতো আমার এক জোড়া ভালো জুতাও নেই। আমার দুইটা বোনকে আমি খুব কষ্ট করে পড়ালেখা করিয়েছি।
এম এ আজিজের গা ঘেঁষা জুনিয়র ক্রিকেট ট্রেনিং একাডেমিতে কখনও সাইকেলে কখনওবা পায়ে হেঁটে ক্রিকেটের নেশায় ছুটে যান হাসান। আর্থিক সংকট কাটিয়ে নিয়মিত অনুশীলনের সুযোগ পেলে নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন বলে দৃঢ় প্রত্যয় হাসানের।
হাসান আরও জানান, ক্রিকেট খেলার জন্য আমার ভালো একটা ব্যাট, প্যাড, জুতা কিছুই নেই। একাডেমির একজন ভাইয়ার থেকে একটা গেম বল পেয়েছি। এটা দিয়েই খেলা চালিয়ে যাচ্ছি।
/এসএইচ
Leave a reply