ইউক্রেনকে আড়াই বিলিয়ন ডলারের যুদ্ধাস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র, হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

|

ইউক্রেনকে আড়াই বিলিয়ন ডলারের নতুন যুদ্ধাস্ত্র এবং সামরিক সহযোগিতার ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র। এতে থাকবে বিমান সুরক্ষা ব্যবস্থা, সাঁজোয়া যান, ১০ হাজারের বেশি রকেট এবং গোলাবারুদ। তবে অন্যদিক থেকে রাশিয়ার হুমকি, মার্কিন সমরাস্ত্র ইউক্রেনের মাটিতে পৌঁছালে যুদ্ধ অন্য মাত্রায় পৌঁছে যাবে। খবর সিএনএন এর।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রামস্টেইন বিমান ঘাঁটির জরুরি বৈঠকে চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করবে মিত্র ইউরোপীয় দেশগুলো। তবে এ নিয়ে হুঙ্কার ছাড়ছে রাশিয়াও। পুতিনের স্পষ্ট হুমকি, ন্যাটো ইউক্রেনকে সমরাস্ত্র সহযোগিতা দিলে যুদ্ধ নতুন মাত্রা পাবে।

ইউক্রেনকে দেয়া জার্মানির ১৪টি চ্যালেঞ্জার ব্যাটেল এবং লেপার্ড-টু ট্যাংক যখন আলোচনার শীর্ষে, সেসময়ই যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে এলো নতুন সামরিক সহযোগিতার ঘোষণা। পেন্টাগন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আড়াই বিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র পাঠানো হবে কিয়েভে। যার মধ্যে অন্যতম ৫৯টি ব্র্যাডলি ফাইটিং সাঁজোয়া যান, ৯০টি স্ট্রাইকার ক্যারিয়ার এবং অ্যাভেঞ্জার আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থা। গেলো একবছরে দেশটিকে ২৭ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহযোগিতা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

এ নিয়ে পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘আব্রাম ট্যাংক’ পাঠাতে পারতো। কিন্তু সেটি পরিচালনার জন্য প্রয়োজন হয় জেট ফুয়েল। সে কারণেই বিকল্প সাঁজোয়া যান ব্র্যাডলি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাছাড়া, মিত্র জার্মানি দিচ্ছে লেপার্ড ও চ্যালেঞ্জার। যেগুলো ডিজেলের মাধ্যমে চালানো যায়। রণক্ষেত্রে সামলানো সহজ। এর বাইরে- গোলাবারুদ-রকেট সবমিলিয়ে আড়াই বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

জেলেনস্কি প্রশাসনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সামরিক সহযোগিতার ব্যাপারে শুক্রবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ৫০টি দেশ। এরইমধ্যে, প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে বেশকিছু ইউরোপীয় রাষ্ট্র। মার্কিন বিমান ঘাঁটি রামস্টেইনে ঘোষণা আসবে।

ন্যাটো মিলিটারি কমিটির চেয়ারপার্সন এডমিরাল রব বুয়ের বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে ভারসাম্যের প্রয়োজন। রাশিয়ার ট্যাংক এবং সাঁজোয়া যান শক্তিশালী। সে কারণেই, ইউক্রেনের বহরে সমরযান বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাটো। আগ্নেয়াস্ত্র, ক্ষিপ্রতা এবং সুরক্ষার ব্যাপারে দেয়া হবে নিশ্চয়তা। বাকি রইলো পশ্চিমা প্রযুক্তি। সবকিছু মিলিয়ে মাথানত করতেই হবে মস্কোকে।

এ দিকে রাশিয়া আগেই হুমকি দিয়ে রেখেছে, ইউক্রেন ভূখণ্ডে ন্যাটোর সমরাস্ত্র পাঠানো হলে নতুন মাত্রা পাবে যুদ্ধ। দেশটির প্রেসিডেন্সিয়াল মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ন্যাটোর পক্ষ থেকে ভারী সমরাস্ত্র ইউক্রেনে পাঠানোর অর্থ হলো যুদ্ধকে উসকে দেয়া। পশ্চিমারা বুঝতে পারছে না, কী সাংঘাতিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তারা! এর ফলে, আগ্রাসনের মাত্রা পৌঁছাবে অনন্য উচ্চতায়। যা নিঃসন্দেহে বৈশ্বিক এবং ইউরোপীয়ান সুরক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে ভালো হবে না।

এর আগে বৃহস্পতিবারও যৌথ সামরিক মহড়ার ভিডিও প্রকাশ করেছে প্রেসিডেন্ট পুতিনের অন্যতম মিত্র বেলারুশ। খুব শিগগিরই ফ্রন্টলাইনে আগ্রাসন বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটি।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply