রুশ হামলা থেকে বাঁচতে প্রাইভেট বাঙ্কারের চাহিদা বাড়ছে ইউক্রেনে

|

ছবি : সংগৃহীত

রুশ হামলা থেকে প্রাণ বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে বেড়াচ্ছেন ইউক্রেনের নাগরিকরা। পালিয়ে বেড়ানোর পরিবর্তে নিজ বাড়িতেই নিরাপদে বসবাসের উপায় খুঁজছেন অনেকে। এজন্য দেশটিতে বাড়ছে প্রাইভেট বোম্ব শেল্টার বা ব্যক্তিগত বাঙ্কারের চাহিদা। মানুষের এ চাহিদার কারণে ইতোমধ্যে খারকিভে শুরু হয়েছে বাঙ্কার তৈরির কাজ। খবর এপির।

খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরের শহর খারকিভ। যেখানে কয়েক দফায় তাণ্ডব চালিয়েছে রুশ সেনারা। এখনও প্রতিদিন হামলা আতঙ্কে দিন পার করেন বাসিন্দারা। ফলে অঞ্চলটিতে বাড়ছে ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রের চাহিদা। মানুষের এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রাণ রক্ষাকারী বোম্ব শেল্টার বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে খারকিভের একদল উদ্যোক্তা।

প্রাইভেট বাঙ্কারের মডেল। ছবি : সংগৃহীত

প্রজেক্ট সোভের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ওলেকসি সুসলিন বলেন, তখন খারকিভে তুমুল গোলাবর্ষণ চলছিল। এজন্য আমার পরিবারকে এ এলাকা ছাড়তে হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কাজের জন্য আমাকে খারকিভেই থেকে যেতে হয়। এরপরই ভাবতে শুরু করি, স্ত্রী-সন্তানকে কাছে রাখতে আমার কি করা উচিৎ। পরে বোম্ব শেল্টার বানানোর এ পরিকল্পনা মাথায় আসে।

নির্মাতাদের দাবি, এ শেল্টারগুলো শক্তিশালী কামানের গোলার আঘাত সহ্য করতে পারবে। এছাড়া, কংক্রিটের প্রলেপ দিয়ে মাটির নিচে স্থাপন করা হলে রাশিয়ার ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থেকেও সুরক্ষা দিতে পারবে।

প্রজেক্ট সোভের আরেক সহ-প্রতিষ্ঠাতা ওলেকজেন্ডার চিরভা বলেন, আমাদের তৈরি এ কাঠামো ১৫২ এমএম ক্যালিবারসহ যেকোনো ভারি কামানের সরাসরি আঘাত সহ্য করতে সক্ষম। সাধারণত যুদ্ধে এসব অস্ত্রই বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। শেল্টারটিতে কংক্রিটের ঢালাই করলে শক্তিশালী রকেট ও ব্যালিস্টিক মিসাইল থেকেও সুরক্ষা দেবে।

বাঙ্কার তৈরির পর ভেতরের অংশ যেমন হবে। ছবি সংগৃহীত

একেকটি বোম্ব শেল্টার বানাতে সময় প্রয়োজন অন্তত দুই মাস। ১৭ বর্গমিটার আয়তনের ভূগর্ভস্থ এসব শেল্টারে থাকবে বেডরুম, বাথরুম ও রান্নাঘর। করিডোর ছাড়াও প্রয়োজনীয় কাজের জন্য থাকবে আরও একটি কক্ষ। একটি বাঙ্কারে যে পরিমাণ খাবার, পানিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান মজুত করা যায়, তা দিয়ে এক সপ্তাহ নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিতে পারবে ৩ সদস্যের একটি পরিবার। এ ধরনের প্রতিটি বোম্ব শেল্টার কিনতে গুনতে হবে প্রায় ৬০ হাজার ডলার।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply