অস্ত্র-সামরিক সহযোগিতা পাঠানো নিয়ে পশ্চিমাদের দোলাচলের কারণেই ইউক্রেনে প্রাণহানি বাড়ছে বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। ন্যাটোর সাথে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর জরুরি বৈঠকে হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু অত্যাধুনিক লেপার্ড-টু ট্যাংক নিয়ে কিছুটা চাপের মুখে জার্মানি। এ পরিস্থিতিতে, দোনেৎস্ক এলাকায় নতুন সাফল্যের খবর দিলো রাশিয়া। খবর কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্টের।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানী কিয়েভের মূল গির্জা থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডেনিস মোনাস্ত্রিসকি এবং মন্ত্রণালয়ের আরও ৬ কর্মকর্তাকে জানানো হয় শেষ বিদায়। অশ্রুসিক্ত অবস্থায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ছিলেন খোদ প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডি। এ সময়ই সামরিক সহযোগিতা নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি হতাশা প্রকাশ করেন জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, রাশিয়ার নোংরা যুদ্ধে প্রতিদিন ইউক্রেনীয়দের হারাচ্ছি, এটা ভীষণ কষ্টদায়ক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডেনিস একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিক ছিলেন। তার মতো প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বীর যোদ্ধা বা সৎ মানুষদের কখনো ফিরিয়ে আনতে পারবে না ইউক্রেন। রক্তক্ষয়ী ত্যাগের বিনিময়ে আমরা শুধু একটা জিনিসই দিতে পারি, স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র। কিন্তু অস্ত্র পাঠানো নিয়ে পশ্চিমাদের দ্বিধাদ্বন্দ্বের কারণে বাড়ছে মৃত্যু।
গত বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডেনিস মোনাস্ত্রিসকি এবং মন্ত্রণালয়ের আরও ৬ কর্মকর্তাকে বহনকারী সুপার পুমা হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয় কিয়েভের কাছেই। তাতে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় একটি নার্সারি। প্রাণ হারায় শিশু, শিক্ষক ও পথচারীরাও। ইউক্রেনের অভিযোগ, রুশ নাশকতার কারণেই বিধ্বস্ত হয়েছে হেলিকপ্টার। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির আক্ষেপ, তবুও অস্ত্র সহযোগিতা নিয়ে দোলাচলে ভুগছে পশ্চিমারা।
এর মাঝেই, দখলকৃত দোনেৎস্কের আরও কিছু শহরে অগ্রগতির খবর দিলো রাশিয়া। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেনকভ বলেন, দোনেৎস্ক এলাকায় কৌশলী অভিযানের মাধ্যমে সাফল্য পেয়েছে রুশবহর। মিসাইল-গোলাবারুদ এবং বিমান হামলার মাধ্যমে ভুরেশে এলাকা দখলের দ্বারপ্রান্তে। সেখানে একদিনেই হতাহতের শিকার ৫০ জন ইউক্রেনীয় সেনা। তাছাড়া, দুটি সাঁজোয়া যান, ৩টি পিক আপ ট্রাক এবং দুটি হইটজার ধ্বংস করা হয়েছে।
শুক্রবার ৫০টির মতো দেশ ইউক্রেনকে ভারী ও অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র পাঠানোর ব্যাপারে সম্মত হয়। কিন্তু লেপার্ড-টু ট্যাংক সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েও পিছু হটেছে জার্মানি। সতর্ক পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি। জার্মানি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র একই শক্তিমত্তার ট্যাংক পাঠালেই কেবল তারা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা ভাববে।
এসজেড/
Leave a reply