চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে আদা-রসুনের বাজারে। মাত্র দশ দিনের ব্যবধানে আমদানিকৃত আদার দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। আর প্রতি কেজি রসুনের দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
বিক্রেতারা এর কারণ হিসেবে ডলার সংকটের প্রভাব বলছেন। আর সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধির অভিযোগ পাইকারি বিক্রেতাদের। অন্যদিকে, রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধিতে ক্ষুদ্ধ ক্রেতারা।
পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজির চায়না আদা গিয়েছে ঠেকেছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়। আর খুচরা বাজারে এক কেজি চায়না আদার জন্য গুণতে হচ্ছে ৩শ’ টাকা। একইভাবে ৮০-৯০ টাকার দেশি, বার্মিজ ও কেরালা জাতের আদার দামও কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।
বিক্রেতাদের দাবি, ডলারের দাম বৃদ্ধি ও এলসি জটিলতায় চীন থেকে পণ্যটি আনতে উৎসাহ দেখাচ্ছেন না আমদানিকারকরা। ফলে পন্যটির সরবরাহ অর্ধেকে নেমেছে। কিন্তু পাইকারি ব্যবসায়ীরা এমন অভিযোগ মানতে নারাজ। সিন্ডিকেটের কথা বলছেন তারা।
আদার পাশাপাশি রসুনের বাজারেও দামের উত্তাপ। চায়না রসুনের জন্য গুণতে হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা। দেশি রসুনের জন্য দিতে হবে ১৩০ টাকা। দেশি একদানা রসুন বিক্রি হচ্ছে ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা কেজিতে।
বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি সংকটে চীন থেকে রসুনের সরবরাহ কমেছে। আবার নতুন মৌসুমের দেশি রসুন বাজারে আসতে এখনও দুই মাস বাকি।
/এমএন
Leave a reply