টানা দুই ম্যাচ হারের পর জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। শোয়েব মালিকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর হারিস রউফের বোলিং নৈপুণ্যে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৫৫ রানে হারায় নুরুল হাসান সোহানের দলটি। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট তালিকার ৪র্থ স্থানে চলে এসেছে রংপুর রাইডার্স।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় রংপুর রাইডার্স। দলীয় ২ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১ রান করে শুভাগত হোমের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শেখ মেহেদী। ৩ নম্বরে ব্যাট করতে আসা পারভেজ ইমনও সুবিধা করতে পারেননি। ১ রানে জীবন পেয়েও ৬ রান করে শুভাগত হোমের দ্বিতীয় শিকার হন ইমন। ওপেনার নাঈম শেখকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয় শোয়েব মালিক। ২৯ বলে ৩৪ রানের কার্যকারী ইনিংস খেলে ভিজয়কান্থের বলে ক্যাচ আউট হন নাইম। ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় রংপুর রাইডার্স।
এরপরই শুরু হয় শোয়েব মালিকের ঝড়। আফগান অলরাউন্ডার ওমরজাইকে নিয়ে ১০৫ রানের জুটি গড়েন মালিক। ২৪ বলে ৪২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে ওমরজাই আউট হলেও ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকেন মালিক। ৫টি বিশাল ছক্কা ও ৫টি চারের সাহায্যে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন পাকিস্তানি এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রানে থামে রংপুরের ইনিংস।
চট্টগ্রামের হয়ে ৩টি উইকেট নেন পেসার মেহেদী হাসান রানা এবং ২টি উইকেট পান অধিনায়ক শুভাগত হোম।
১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। স্পিনার রাকিবুল হাসানের জোড়া আঘাতে ১১ রানের মধ্যেই ৩ ব্যাটার বিদায় নিলে ব্যকফুটে চলে যায় চট্টগ্রাম। এরপর রাসুলিকে নিয়ে ৬৬ রানের জুটি গড়েন চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম। দলীয় ৭৭ রানের রাসুলি বিদায় নিলেও একপ্রান্তে লড়াই চালিয়ে যান শুভাগত। ৪টি ছক্কা ও ৪টি চারের সাহায্যে ৩১ বলে ৫২ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন তিনি। এর মাঝে ১২ বলে ২৪ রানের একটি ক্যামিও ইনিংস খেলেন জিয়ায়ুর রহমান। দলীয় ১১০ রানে শুভাগত আউট হলে এরপর চত্তগ্রাম ইনিংসে ধস নামান পাকিস্তানি গতি দানব রউফ। তার বোলিং তোপে ১৪ রানের মধ্যে শেষ ৪ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ইনজুরির কারণে ব্যাট করতে নামেননি আফিফ হোসেন।
শেষ পর্যন্ত ১২৪ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রামের ইনিংস। যার ফলে, ৫৫ রানের বড় জয় দিয়ে মাঠ ছাড়ে রংপুর।
/আরআইএম
Leave a reply