রঙ-বেরঙের প্রজাপতি, মৌমাছি কিংবা ভিমরুল মানুষের জন্য প্রকৃতির এসব পতঙ্গ অনন্য আশীর্বাদ। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে হুমকিতে রয়েছে উপকারী পতঙ্গগুলোর অস্তিত্ব। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এদের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই এসব পতঙ্গের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে উদ্যোগ নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। খবর রয়টার্সের।
খবরে বলা হয়েছে, সাত বছর মেয়াদী প্রকল্পের আওতায় বেশকিছু পদক্ষেপ নেবে জোটটি। পতঙ্গগুলোর জন্য ইউরোপজুড়ে তৈরি করা হবে ইকোলজিক্যাল নেটওয়ার্ক। এদের রক্ষায় জোটভুক্ত ২৭টি দেশে বাড়ানো হবে নজরদারি।
ইইউ’র পরিবেশ কমিশনার ভার্জিনিজাস সিঙ্কেভিসিয়াস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে বিশ্বকে রক্ষায় পরাগায়নে সাহায্যকারী এ পতঙ্গগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। অথচ আশঙ্কাজনক হারে প্রজাপতি, মৌমাছির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তাদের রক্ষায় আমাদের আরও পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ। নতুন এই চুক্তির মাধ্যমে, ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা তাদের হ্রাসের হার কমিয়ে আনতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রথম পদক্ষেপই হবে তাদের আবাসস্থলগুলো সংরক্ষণ করা। বিশেষ করে, যেসব প্রজাতি বিপন্ন হওয়ার হুমকিতে তাদের জন্য আলাদা পরিকল্পনা করবো আমরা। পরাগায়নকারীদের জন্য বিস্তৃত ইকোলজিকাল নেটওয়ার্ক তৈরির উদ্দেশ্যেই আমাদের ‘বাজ লাইন’ নামের নতুন এই উদ্যোগ।
সাত বছর মেয়াদী এ চুক্তির মাধ্যমে, পতঙ্গগুলোর আবাসস্থল সংরক্ষণ করা হবে। গোটা ইউরোপেই খাদ্য ও আশ্রয় নিশ্চিতে এদের জন্য তৈরি করা হবে ইকোলজিক্যাল নেটওয়ার্ক। ক্ষতিকারক কীটনাশক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, অপ্রয়োজনীয় পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ, দূষণরোধসহ নেয়া হবে আরও নানা উদ্যোগ।
এর আগে, ২০১৮ সালেও পতঙ্গগুলো রক্ষায় উদ্যোগ নেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সেসময়, মৌমাছির জন্য বিপজ্জনক তিনটি কীটনাশক ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। যদিও অনেক বিশেষজ্ঞের মত, প্রজাতিগুলো রক্ষায় এই উদ্যোগ যথেষ্ট নয়।
এএআর/
Leave a reply