তেহরানে আজারবাইজানের দূতাবাসে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনায় প্রতিবেশি দু’দেশের বৈরি সম্পর্কে নতুন করে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। অ্যাম্বাসির ভেতরে হামলাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আখ্যা আজারবাইজানের। বাকু সরকারের দাবি, কূটনীতিকদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ তেহরান। এদিকে তেহরান বলছে, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই হামলা চালিয়েছে বন্দুকধারী, যার সাথে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। খবর রয়টার্সের।
এলোপাতারি গুলি চালানো হয় ইরানে অবস্থিত আজারবাইজানের দূতাবাসের ভেতরের। দূতাবাসের মতো স্পর্শকাতর স্থানে একে-47 দিয়ে হামলা চালায় এক বন্দুকধারী। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দূতাবাসের নিরাপত্তা প্রধান।
সিসিটিভির ফুটেজের আলোচিত এই ঘটনা ইরান ও আজারবাইজানের উত্তপ্ত সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। আজারবাইজানের স্পষ্ট বক্তব্য, দূতাবাসের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে ইরান। এর আগে, বারবার নিরাপত্তা বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হলেও তেহরান তা গুরুত্ব দেয়নি বলেও অভিযোগ তাদের। একে সরাসরি সন্ত্রাসী হামলা আখ্যা দিয়েছে বাকু সরকার।
আজারবাইজানেরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালইয়ের মুখপাত্র আইখান হাজিজাদা বলেন, আমরা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের যত দ্রুত সম্ভব বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। যেহেতু ইরানের অনুমোদনেই দূতাবাস স্থাপন করা হয়েছে, তাই ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দায়িত্ব সরাসরি ইরানের কাঁধে। শিগগিরই ইরান থেকে আমাদের দূতাবাসের সকল কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নেয়া হবে।
তেহরানের পুলিশ প্রধান জেনারেল হোসেন রাহিমির বক্তব্য, একে-47 নিয়ে হামলাকারী দূতাবাসের ভেতরে প্রবেশ করে। সেখানেই এক কূটনীতিককে হত্যা করে। এসময় আরও দুজন আহত হয়। হামলাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার দাবি, পারিবারিক সমস্যার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আসল কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।
দীর্ঘদিন ধরেই দুই প্রতিবেশির কূটনৈতিক সম্পর্কে উত্তেজনা চলছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ আজারবাইজানের রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। চলতি মাসেই ইরানের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেছে বাকু প্রশাসন। আর্মেনিয়ার সাথে সংঘাতে বরাবরই আজারবাইজানকে সামরিক সহায়তা ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে আসছে ইসরায়েল।
এটিএম/
Leave a reply