চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটনের (আপেল প্রতীক) ১১টি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও ১টিতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। প্রার্থীর ফেস্টুন, পোস্টার ও ব্যানারও ছিড়ে ফেলা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ বলছে, অপরাধীদেরকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাতে শহরের বাতেন খাঁর মোড়ের প্রধান নির্বাচনী অফিস, হাজিপড়া, উদয়ন মোড়, রেলগেট, বিদিরপুর, উদয় সংঘ মোড়, ফুড অফিস মোড়ের অফিসসহ মোট ১১টি নির্বাচনী প্রচার অফিস ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা খান বাতেন খাঁর মোড়ের ভাঙচুর চালানো প্রধান নির্বাচনী অফিস পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে ২০-২২ জন স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসে জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সামিউল হক লিটনের প্রধান নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে। এছাড়া মোটরসাইকেল যোগে এসে অন্যান্য নির্বাচনী অফিসগুলোতেও হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় আলীনগর রেলগেট মোড়ের নির্বাচনী অফিসটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয় বলেও অভিযোগ।
এ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম শাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, দুর্বৃত্তরা দ্রুত এসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। তাদের ধরা সম্ভব হয়নি। পুলিশের টহল টিম মাঠে কাজ করছে। অপরাধীদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
এ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়েছে। তারা মাঠে কাজ করছেন। নির্বাচনে এরকম বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে। আমরা অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। ভোটররা ১ ফেব্রুয়ারি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন, সেটা বাস্তবায়ন করাই আমাদের লক্ষ্য।
এসজেড/
Leave a reply