পুলিশ কর্মকর্তার গুলিতে ভারতের ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব কিশোর দাস মারা গেছেন। জানা গেছে, তাকে যে পুলিশ কর্মকর্তা গুলি করেছিলেন তিনি ছিলেন মানসিক রোগী। দীর্ঘদিন ধরেই বাইপোলার ডিজঅর্ডারের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন অভিযুক্ত সাব-ইনস্পেক্টর গোপালক্রুষ্ণা দাস। তবুও কেনো এত গুরুত্বপূর্ণ পদে তাকে বহাল রাখা হয়েছিল, তা এখন বড় প্রশ্ন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ওড়িশার ঝাড়সুগুদা জেলার ব্রজরাজনগরের গান্ধি চকের কাছে এক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে যান রাজ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব কিশোর দাস। সেখানে গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথেই ভিড়ের মধ্য থেকে তাকে পর পর দুটি গুলি করা হয়। গুলি সরাসরি তার বুকে এসে লাগে। পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ নিয়ে গোটা ভারতেই শুরু হয় হৈচৈ। অবশ্য ওই দিনই ঘাতক গোপালক্রুষ্ণা দাসকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।
এনডিটিভির প্রতিবেদন বলেছে, ঘাতক পুলিশ কর্মকর্তা গোপালক্রুষ্ণা দাস বাইপোলার ডিজঅর্ডার নামের একটি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এটি এমন একটি রোগ, যাতে আক্রান্ত ব্যক্তির রাগ ও দুঃখের মতো আবেগ ঘন ঘন পরিবর্তিত হয়। গভীর অবসাদে ভোগেন রোগী। নিজের আবেগকে সহসাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। অভিযুক্ত গোপালক্রুষ্ণারও এই সমস্যা ছিল। তার চিকিৎসা করছিলেন ওড়িশার ব্রহ্মপুরের এমকেসিজি মেডিকেল কলেজের মনরোগ বিভাগের প্রধান চন্দ্রশেখর ত্রিপাঠি।
চন্দ্রশেখর ত্রিপাঠি জানান, গোপালক্রুষ্ণা ৮ থেকে ১০ বছর আগে প্রথম তার ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। তিনি খুব তাড়াতাড়ি মাথা গরম করে ফেলতেন। তার চিকিৎসা চললেও তিনি নিয়মিত ওষুধ সেবন করতেন কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেননি এই চিকিৎসক। তিনি বলেন, নিয়মিত ওষুধ না খেলে এই রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। গত এক বছরে গোপালক্রুষ্ণা আর তার ক্লিনিকে যাননি। গোপালক্রুষ্ণার মানসিক রোগ ছিল বলে স্বীকার করেন তার স্ত্রীও। তবে কাজের সূত্রে পরিবারের সাথে থাকতেন না তিনি।
এ নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রোববার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার কাজেই নিয়োজিত ছিলেন গোপালক্রুষ্ণা। তবে হঠাৎ কেনো তিনি মন্ত্রীকে গুলি ছুড়লেন তা নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এসজেড/
Leave a reply