পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন জঙ্গলে প্রশিক্ষণ নেয়া নতুন জঙ্গি সংগঠনের ৩২ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাব। তবে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল-শারক্বীয়া’ নামের ঐ সংগঠনের ৮ জনকে গ্রেফতার এবং ২ জন প্রশিক্ষণের সময় মারা গেছেন বলে দাবি করেছে র্যাব।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ যুবক-তরুণদের সমন্বয়ে গঠিত বাহিনী ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল-শারক্বীয়া’। কথিত খিলাফতের স্বপ্নে বিভোর সংগঠনটি শক্তি সামর্থ্য জানান দিতে নিজেরাই তৈরি করে ভিডিওটি। আর সেই ভিডিও ক্লিপের ৩২ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। যাদের দেখে চিনতে পেরেছেন পরিবারের সদস্যরাও।
বান্দরবানের রামু, রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির মতো দুর্গম পাহাড়ে আঞ্চলিক সশস্ত্র বাহনী কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সহায়তায় এ সংগঠনের সামরিক প্রশিক্ষণ চলে। সেখানে নতুন এ জঙ্গি সংঠনের প্রশিক্ষণ নিয়েছে এমন ৫৫ জনের পরিচয় পেয়েছে র্যাব। তাদের মধ্যে ওই ৩২ জনকে তাদের পরিবারের সহায়তায় শনাক্ত করেছে তারা।
র্যাব জানাচ্ছে, অর্থের বিনিময়ে কেএনএফ এর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া জঙ্গি সংঠনের সবাই কথিত হিজরতের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিল। কেউ কেউ মাঝে মাঝে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলেও নিজের অবস্থান জানায়নি। কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ ৭ জনকে খুঁজতে গিয়েই নতুন এ জঙ্গি সংগঠনের খবর পায় র্যাব।
এ নিয়ে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান বলেন, নাশকতা, সন্ত্রাসী হামলা এবং টার্গেট কিলিংয়ের মাধ্যমে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলাই এ সংগঠনের উদ্দেশ্য ছিল।
র্যাবের এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট যারা স্থানীয় ‘বম’ পার্টি হিসেবেও পরিচিত, এর প্রতিষ্ঠাতা নাথান বমের সাথে ২০২১ সালে জামাতুল আনসার সংগঠনের আমিরের সমোঝোতা চুক্তি হয়। সে চুক্তি অনুযায়ী মাসে ৩ লাখ টাকার পাশাপাশি কেএনএফ সদস্যদের খাবার খরচও বহন করছে জামাতুল আনসার।
এসজেড/
Leave a reply