শরীয়তপুরে সোনার গহনা ও নগদ টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে প্রকাশ্যে ৪ কিশোরকে গাছের সাথে বেঁধে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। পরে অভিযুক্তরা নিজেরাই সালিশ ডেকে কিশোরদের জরিমানা করে বলে জানা গেছে। নির্যাতনের শিকার কিশোরদের দাবি, অনুমতি না নিয়ে গাছ থেকে ডাব পেড়ে খেতে গিয়ে ধরা পড়ার পর তাদের গহনা চুরি অপবাদ দিয়ে নির্যাতন ও জরিমানা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত শনিবার (২৮ জানুয়ারি) নড়িয়ার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে ঘটে এ ঘটনা। চার কিশোরকে সোনার গহনা ও নগদ ২ হাজার টাকা চুরির অভিযোগে গাছের সাথে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। নির্যাতনের শিকার কিশোরদের দাবি, ৫ বন্ধু মজার ছলেই অনুমতি না নিয়ে গ্রামের সেলিম ছৈয়ালের বাড়ির গাছ থেকে ডাব পেড়ে খেতে যায়। এসময় তাদের ৪ জনকে ধরে ফেলে সেলিম ও তার লোকজন। পরে বাড়ি থেকে সোনার গহনা ও নগদ টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর করা হয় তাদের।
ঐ রাতেই গ্রামের প্রভাবশালী সেলিম ও তার বংশের লোকজন সালিশ বসিয়ে ৫ কিশোরকে ১২ হাজার টাকা করে জরিমানা করে। সাদা স্ট্যাম্পে পরিবারগুলোর স্বাক্ষরও নেয়া হয়।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত সেলিমের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার স্ত্রী দাবি, গহনা ও টাকা চুরির কারণেই কিশোরদের মারধর ও জরিমানা করা হয়েছে। অভিযুক্ত সেলিম ছৈয়ালের স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন, জানালা দিয়ে ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে যায় ওই কিশোররা। এ কারণেই তাদের মারধর করা হয়েছে। তবে চুরি যাওয়া গহনা ও টাকা পাওয়া যায়নি বলে দাবি জাহানারা বেগমের।
নির্যাতনের ঘটনায় সেলিমসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে নড়িয়া থানায় অভিযোগ দিয়েছে পরিবারগুলো। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা তদন্দ করছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি চান এলাকাবাসী।
এসজেড/
Leave a reply