‘ট্রফিটা যেন ডাকছিল, এখন আমাকে স্পর্শ করতে পারো’

|

ছবি: সংগৃহীত

আমি জানতাম, সৃষ্টিকর্তা আমাকে বিশ্বকাপ উপহার দেবেন। সেদিনের পর থেকে আমার জীবনে সবকিছু বদলে গেছে। তবে ম্যারাডোনার হাত থেকে ট্রফিটা পেলে সেটা হতে পারতো দারুণ এক মুহূর্ত। জীবনের ভ্রমণটা যেন এক এক উত্তেজনায় ঠাসা সিনেমা। বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টাইন রেডিওকে দেয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে আবেগ অনুভূতির গল্প শুনিয়েছেন ফুটবল মহাতারকা লিওনেল মেসি।

গত ১৮ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে লিওনেল মেসি হাতে তুলে নেন স্বপ্নের সোনালী ট্রফি। পূর্ণতা পায় মেসির ফুটবল ক্যারিয়ার। তিনি চলে যান সেরাদের সেরা হওয়ার সকল বিতর্কের উর্ধ্বে। করমর্দন করেন স্বর্গের সাথে। বিশ্বকাপ ট্রফিতে চুম্বনের ঠিক আগের মুহূর্ত কিংবা ঐ ট্রফি হাতে রোজারিওর জনসমুদ্রে ভালোবাসার জোয়ারে হারিয়ে যাওয়া- আর্জেন্টাইন রেডিও আরবানা প্লে‘র পেরোস দে লা কাল্লে‘তে দেয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে এই মহাতারকা কথা বলেছেন অনেক কিছুই নিয়ে।

মেসি বলেন, ট্রফিটা যেন আমাকে ডাকছিল, এই যে আমি এখানে! এসো, আমাকে নিয়ে যাও। এখন তুমি আমাকে স্পর্শ করতে পারো। আমি জানতাম, সৃষ্টিকর্তা আমাকে এটা উপহার দেয়ার অপেক্ষায় আছেন। এটা কীভাবে টের পেয়েছি, বুঝিয়ে বলতে পারবো না। জীবনে যা যা অর্জন করেছি, সে জন্য প্রতিদিনই তাকে ধন্যবাদ জানাই। এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়ার নেই।

লিওনেল মেসি জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ ফাইনালের আগের রাতে আন্তোনেল্লার সঙ্গে গল্প করেই কাটিয়েছিলেন তিনি। তিনি। ছেলে থিয়াগো, মাতেও এবং চিরোর কাছেও বিশ্বকাপের সময়টা ছিল অবিশ্বাস্য। ট্রফি নিয়ে ফেরার পর রোজারিওর পাগলাটে উদযাপন লিওর অনুভূতিকে আজও নাড়া দিয়ে যায়।

মেসি সে সময়টার কথা মনে করে বলেন, অসাধারণ একটা মাস কেটেছে আমাদের সবার জন্য। থিয়াগো তো পাগল হয়ে গিয়েছিল! ওকে কষ্ট পেতে দেখেছি, আনন্দে ভাসতেও দেখেছি। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের পর কেঁদেছিল থিয়াগো। সৌদি আরবের বিপক্ষে হারের পর মাতেও হিসেব করতে বসেছিল, কীভাবে আমরা দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে পারি। সিরো এসব বুঝতে পারার মতো বড় নয়। তবে বাকি দুইজন অনেকের অনেক ধরনের প্রতিক্রিয়াই দেখেছে।

আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে যা ঘটেছে তা ভালো লাগেনি: মেসি

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply