কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রিয়াজুল (৪০) রোগীকে মৃত ঘোষণা করার পরও রোগী জীবিত ছিল বলে অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনেরা।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। রোগীর স্বজনেরা ক্ষিপ্ত হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে রোগীর স্বজনেরা জানায়, দুপুরে রেজাউল স্ট্রোক করায় চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের স্বজনেরা। দায়িত্বরত চিকিৎসক ইসিজি করার পর রেজাউলকে মৃত ঘোষণা করেন। রিয়াজুলকে কবুরহাট গ্রামের বাড়িতে নেয়ার পর রিয়াজুল ইশারা ও ইঙ্গিত করে চোখ খুলে তাকায় এবং শ্বাস নেয় বলে জানায় পরিবারের স্বজনেরা। এরপর আবারও তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে পুনরায় ইসিজি করার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তারা বলেন, চিকিৎসকের ভুল তথ্যে জীবিত রিয়াজুলকে মৃত ঘোষণা করায় দীর্ঘ সময় পরিবারের সদস্যরা হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিভাবকরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, চিকিৎসায় অনেক সময় নষ্ট হয়েছে এখন মারা গেলো, এর দায় নিবে কে? চিকিৎসা সেবা নিয়ে এ ঘটনায় অভিভাবকসহ স্থানীয় জনমনে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান নিয়ে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুল আলম বলেন, সকালের ডিউটিতে তিনি ছিলেন না। ঘটনাস্থলে দ্রুত যান এবং পুনরায় ইসিজি করার পর রোগীকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে কী কারণে বাড়িতে ইশারা বা ইঙ্গিত করেছেন তা তার জানা নেই বলে। এটা গুজব বলে মনে করছেন।
/এনএএস
Leave a reply