বায়ু দূষণে টানা এক সপ্তাহ ধরে শীর্ষ অবস্থানে ছিল রাজধানী ঢাকা। আজও দূষণের মাত্রা চরম অস্বাস্থ্যকর। হাইকোর্টের কড়াকড়ি নির্দেশনার পর দূষণ রোধে অভিযানে নেমেছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে অভিযান পরিদর্শনে আসেন পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, দূষণ রোধে যত ব্যবস্থা নেয়ার দরকার সবই নেবে অধিদফতর। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, ৫ জানুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। তবে এজন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
অভিযানে কালো ধোঁয়া নির্গত হওয়া যানবাহনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বাদ যায়নি রাষ্ট্রায়ত্ত বিআরটিসি বাসও। মন্ত্রী জানান, বেশি দূষিত এলাকায় অভিযান চলবে। এদিকে, এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্সে আজও ঢাকার বাতাস চরম অস্বাস্থ্যকর। পরের সপ্তাহ জুড়ে এমনটাই থাকবে বলে আশঙ্কা করছে এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স।
পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, বায়ু দূষণের প্রধান কারণ গাড়ির কালো ধোঁয়া। এর সাথে অন্যান্য যেসব কারণে বায়ু দূষিত হচ্ছে সবগুলোই আমরা খুঁজে বের করবো। আজকের অভিযানের মাধ্যমে আমরা এই কাজ শুরু করলাম। বায়ু দূষণ কমানোর জন্য যা যা করণীয় তার সবই করা হবে।
যেসব এলাকায় বায়ু দুষণ অপেক্ষাকৃত বেশি, সেই এলাকাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে কিনা; এমন প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, যানজটের এলাকায় এসব অভিযান চালানো কিছুটা সমস্যার। তাই বড় রাস্তায় আমরা অভিযান চালাচ্ছি।
এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্সে গত এক সপ্তাহ ধরেই বায়ু দূষণে শীর্ষ অবস্থানে ছিল রাজধানী ঢাকা। আজ কিছুটা উন্নতি দেখা গেলেও এই অবস্থাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলা হচ্ছে। গতকাল হাইকোর্টের এক মৌখিক আদেশে পরিবেশ অধিদফতরের উদ্দেশে বলা হয়, আমাদের মেরে ফেলবেন নাকি! সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হলে পরিবেশ মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, দেশের মানুষ যাতে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে বসবাস করতে পারে, সে জন্য চেষ্টা করছি। হাইকোর্টের নির্দেশনা আমরা যথাযথভাবে মেনে চলবো। সকলের সহযোগিতা নিয়ে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।
আরও পড়ুন: বায়ু দূষণ রোধে কী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট
/এম ই
Leave a reply