পশ্চিমা মিত্রদের দেয়া অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র পরিচালনায় ইউক্রেনীয় সেনাদের দক্ষতা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। রাশিয়ার দাবি, এসব সমরযান চালনায় পারদর্শিতা অর্জনে কমপক্ষে এক বছর সময় লাগবে ইউক্রেনীয় সেনাদের। ফলে, মিত্রদের দেয়া ট্যাংকগুলোর সদ্ব্যবহার রণক্ষেত্রে তারা করতে পারবে না। অপরদিকে, পোল্যান্ড বলছে- ১০ সপ্তাহেই শেষ করা সম্ভব সমরযান পরিচালনার প্রশিক্ষণ। তাই, সব মিলিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে এসব অস্ত্র আসলে ইউক্রেনকে কতোখানি সুবিধা দেবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। খবর রয়টার্সের।
অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে যখন ইউক্রেনকে ট্যাংক দেয়ার সিদ্ধান্তে পৌছেছে ন্যাটো মিত্ররা; ঠিক তখনই সামনে এলো আরেক বিপত্তি। গেম চেঞ্জার বলা হচ্ছে যে লেপার্ড-টু, আব্রামস, চ্যালেঞ্জার-টু’র মতো সমরাস্ত্রকে, তারা আসলেই কতোখানি কার্যকর হবে রণক্ষেত্রে? এ আশঙ্কার পেছনে কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, এসব অস্ত্র চালনার অপারদর্শিতাকে। ইউক্রেনের সেনারা এ মুহুর্তে যুদ্ধক্ষেত্রে এগুলো ব্যবহারে কতখানি প্রস্তুত তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
রুশ সংবাদ সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জার্মান প্রযুক্তির ‘লেপার্ড টু’ ট্যাংক চালনায় পারদর্শী হতে ইউক্রেনীয় সেনাদের অন্তত ১ বছর প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তাদের দাবি- জার্মানি ও ব্রিটেনে কমপক্ষে দুই বছর বা তার বেশি সময় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এমন সেনারাই পরিচালনা করেন এ সমরযান। আর কৌশলগত দিক থেকেও সোভিয়েত পরবর্তী সমরাস্ত্রের চেয়ে বেশ জটিল এগুলো।
অবশ্য পোল্যান্ডের দাবি, আড়াই মাসের প্রশিক্ষণেই লেপার্ড টু পরিচালনার কৌশল রপ্ত করতে পারবে ইউক্রেনীয় সেনারা। যা রণক্ষেত্রে তাদের আরও বেশি সুরক্ষা, গতি এবং নির্ভুলতা দেবে।
পোলিশ কমান্ডার মেজর মাসিজ বানাসজিনস্কি এ প্রসঙ্গে বলেন, লেপার্ড, আব্রামসের মত ট্যাংকগুলোর প্রশিক্ষণ করাতে কমপক্ষে ১০ সপ্তাহ সময় লাগে। তবে প্রক্রিয়া জোরদার করলে তা পাঁচ সপ্তাহেই সম্ভব। আগেকার সমরাস্ত্রের চেয়ে এর কৌশল অনেকখানি সহজ। শুধু চালক এবং গানম্যানকে ভালো মতো প্রশিক্ষণ নিতে হবে। আর গুলি ছোঁড়ার পদ্ধতি অন্য ট্যাংকগুলোর মত একই।
আর, ওয়াশিংটনও বলছে- অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এসব ট্যাংক পরিচালনার জন্য ব্যাপক প্রশিক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। কিন্তু রুশ বাহিনীর জোরালো হামলা প্রতিরোধের মতো সময় কিয়েভের আছে কি না সেটিই এখন দেখার বিষয়।
/এসএইচ
Leave a reply