ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দৌলতপুর এসকে বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতিকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুস শহীদ বাবু।
সম্মেলনে আব্দুস শহীদ বাবু লিখিত বক্তব্যে বলেন, তিনি গত ৪ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর এসকে বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণ করার পর বিদ্যালয়ের খাতাপত্রে আয়-ব্যয়ের হিসাবে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার দুর্নীতি লক্ষ্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দীন ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আখতার হোসেন সহ বেশ কয়েকজন মিলে বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গজেন্দ্র নাথ রায় মানসিক ভারসাম্যহীন বলে তিনি বিদ্যালয় থেকে ছুটি নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও জানান শহীদ।
আব্দুস শহীদ আরো বলেন, গত ২২ জুলাই সকালে তিনি বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। এসময় অফিস কক্ষে প্রবেশ করা মাত্রই প্রধান শিক্ষক গজেন্দ্র নাথ রায় ও তাঁর ছেলে নিশা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তিনি এর প্রতিবাদ করলে তারা তাকে মারপিট করে এবং হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে ঘটনা ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করে।
তিনি জানান, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দীনের ভাই মো. গোলাম মোস্তফাকে সেসময় অবৈধ পন্থায় বিদ্যালয়ের গ্রন্থগারিক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তার সার্টিফিকেট যাচাইকালে দেখা যায় তিনি যে বছর উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন তার পরের বছর ডিগ্রী পাশ করেছেন।
এসব বিষয়ে তাকে (গজেন্দ্র নাথ রায়) জবাব দিতে বলা হলে তিনিও আত্মসাৎকারীদের পক্ষ অবলম্বন করে তার (শহীদ) বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের লেলিয়ে দেন বলেও মন্তব্য করেন শহীদ।
আব্দুস শহীদ সকল ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা জানান এবং দুর্নীতির সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেন সম্মেলনে।
Leave a reply