জেলা সদরের সাথে সরাসরি কোনো সড়ক যোগাযোগ নেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের। কোনো জরুরি প্রয়োজনে পাড়ি দিতে হয় অতিরিক্ত ৩০-৪০ কিলোমিটার। সেতু হয়েও সংযোগ সড়কের অভাবে তা অকার্যকর। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় ২ বছর পেরিয়ে গেলেও সেতু কবে পুরোপরি কার্যকর হবে, সে বিষয়ে এখনও নেই কোনো নিশ্চয়তা।
তিতাস নদীর তীরবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা, যার সাথে জেলা সদরের সরাসরি কোনো সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। তাই, এলাকাবাসীর একমাত্র ভরসা খেয়া পারাপার। সড়ক পথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে পাশ্ববর্তী উপজেলা বাঞ্ছারামপুর কিংবা কুমিল্লার মুরাদনগর হয়ে ৫০-৬০ কিলোমিটার পথ পারি দিতে হয় নবীনগরবাসীর। সমস্যা সমাধানে উপজেলা সদর থেকে সিতারামপুর ঘাট পর্যন্ত ৫৫৮ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুর কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। ওই বছর ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, পেরিয়ে গেছে আরও একটি বছর।
১১টি পিলারের ওপর বসেছে সেতুর মূল অবকাঠামো। শুধু আটকে আছে সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ। তাই, শেষ হয়েও যেন হইলো না শেষ।
ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা ও হাওরবেস্টিত এলাকা হওয়ায় কাজের ধীরগতি, দাবি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। এ প্রসঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সওজ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের কিছু জটিলতা ছিল। প্রশাসনিক অনুমতির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে আমরা ব্যাপারটি জানিয়েছি।
একমাসের মধ্যে সেতু দিয়ে আপাতত পায়ে হাঁটার ব্যবস্থার কথা বলছে কর্তৃপক্ষ। সওজ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, পায়ে হেঁটে, রিকশা নিয়ে বা ছোট যান নিয়ে চলাচল করতে পারে। উভয় প্রান্তের মানুষের সংযোগটা যেন আগামী এক দেড় মাসের মধ্যেই হয় সে চেষ্টাই আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, সেতুটি চালু হলে ২১ কিলোমিটার দূরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে সরাসরি যাতায়াতের সুবিধা পাবে নবীনগরবাসী।
/এসএইচ
Leave a reply