মহাকাব্যিক অসংখ্য মহারণে একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে নেমেছেন তারা দুইজন। স্প্যানিশ লিগে এক সাথে খেলা ১৫ বছরে দুইজনকে পরস্পরের চক্ষুশূলেও পরিণত করেছিল গণমাধ্যম। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার প্রতীকে পরিণত হওয়া সার্জিও রামোস ও লিওনেল মেসির সম্পর্কের এই দিককে তুলে ধরতে অবশ্য গণমাধ্যমের খুব বেশি অতিরঞ্জনের আশ্রয় নিতে হয়নি।
মাঠে অগ্নি ঝরানো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রতিনিয়ত স্ফুলিঙ্গ ছড়াতো তাদের লড়াই। অবশেষে এখন ক্লাব সতীর্থ মেসি ও রামোস। দীর্ঘ সময়ের পর্যবেক্ষণের নিরিখেই হয়তো এক সময়ের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মেসিকে রামোস দিলেন ফুটবলে ‘সর্বকালের সেরা’র খেতাব। খবর গোল ডটকমের।
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলার সময় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পক্ষেই একাধিকবার বাজি ধরেছিলেন রামোস। তবে বর্তমান সময়ের চিত্রটা ভিন্ন। রিয়াল ছাড়ার পর নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন রোনালদো। অন্যদিকে, এই সময়ে ব্যবধানটা বেশ বাড়িয়ে নিয়েছেন মেসি। ব্যালন ডি’অর সংখ্যায় এগিয়ে যান এলএমটেন। পেলেন আন্তর্জাতিক শিরোপার স্বাদ। যেখানে রয়েছে বিশ্বকাপও।
আর তাতেই লিওনেল মেসির বন্দনা চলছে পুরো বিশ্বজুড়ে। সর্বকালের সেরা বিতর্কে অনেকেই এখন মেসিকে রাখছেন শীর্ষে। তার একজন এখন রামোসও। পিএসজি টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রামোস বলেন, বেশ কয়েক বছর মেসির বিপক্ষে খেলা আমার জন্য ভোগান্তির ছিল। আমি এখন তাকে উপভোগ করছি। সেই ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়।
এর আগে, রিয়াল মাদ্রিদে ১৬ মৌসুম কাটিয়েছেন রামোস। তখন বার্সেলোনায় খেলতেন মেসি। তখন অনেকবারই রামোসকে ড্রিবলিং করে বোকা বানিয়েছেন এ আর্জেন্টাইন। মেসিকে গোলবঞ্চিত অনেক রাত উপহার দিয়েছেন রামোসও। তবে ২০২১ সালে দুই তারকাই যোগ দেন পিএসজিতে। যদিও আগামী গ্রীষ্মেই দুইজনেরই চুক্তির মেয়াদ ফুরোচ্ছে ক্লাবটিতে।
/আরআইএম/এমএন
Leave a reply