স্টাফ করেসপনডেন্ট, যশোর:
রেললাইনে দাঁড়িয়ে সুমাইয়া খাতুন ওরফে সাথী (২২) মোবাইল ফোনে তার বাবাকে বলেছিলেন, আলিফকে (২) দেখে রেখো বাবা। এরপরই চলন্ত ট্রেনের নিচে লাফিয়ে আত্মহত্যা করে সাথী। অভিযোগ, স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে এমনটা করতে বাধ্য হয়েছে সে।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে যশোরের অভয়নগরে রাজঘাট জাফরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাথী যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া গ্রামের রকি শেখের স্ত্রী। রেলওয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে বোরকা পরিহিত এক নারী রেললাইনে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। এসময় খুলনাগামী বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। দেহ থেকে তার মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
নিহতের বাবা মহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তার মেয়ে সাথী ও নাতি আলিফ সকালে তাদের বাড়িতে আসে। অভয়নগরের রাজঘাট বাজারে যাওয়ার কথা বলে আলিফকে রেখে সে চলে যায়। দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে সে ফোন করে আলিফকে দেখে রাখার কথা বলে। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে জানতে পারেন মেয়ের মরদেহ রাজঘাট এলাকায় রেললাইনে পড়ে রয়েছে।
তার অভিযোগ, সাথীর সঙ্গে জামাই রকি প্রায়ই খারাপ আচরণ ও মারপিট করত। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা জানান, রাজঘাট এলাকায় রেললাইন থেকে বেতনা এক্সপ্রেস টেনে কাটা এক নারীর খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ যশোর মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এটিএম/
Leave a reply