ফরিদপুর প্রতিনিধি:
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ পাওয়া কলে খবর পেয়ে ফরিদপুরে যৌনপল্লী থেকে এক তরুণীকে (১৮) উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে ফরিদপুর শহরের রথখোলা যৌনপল্লী থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, মাসখানেক পূর্বে প্রেমিকের আশ্বাসে ঘর ছেড়েছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু প্রেমিক কর্তৃক প্রতারণার শিকার হন তিনি। তাকে ফেলে পালিয়ে যায় প্রেমিক। এরপর এক রিকশাচালককে রাতে থাকার জন্য কম টাকার মধ্যে একটি হোটেলে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু রিকশাচালক তাকে যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেয়। এরপর সেখানে মাসখানেক ধরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করা হয়। অস্বীকৃতি জানালে মারধর করা হতো তাকে।এমন অভিযোগ জানিয়ে শনিবার (৪ জানুয়ারি) জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে এক তরুণী ফোন করেন। তিনি জানান, তিনি ফরিদপুর রথখোলা এলাকায় একটি যৌনপল্লীতে আটক আছেন, তিনি একজন খদ্দেরের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেছেন। তাকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মামুনুর রশিদ কলটি রিসিভ করেছিলেন। মামুন তাৎক্ষণিকভাবে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানায়। ৯৯৯ ডিস্পাচার এসআই দীপন কুমার মণ্ডল সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এবং কলারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে পুলিশি তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
সংবাদ পেয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়। পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশ দলের নেতৃত্বে থাকা এসআই খায়রুল জানান, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে অভিযান চালিয়ে শহরের রথখোলা যৌনপল্লী থেকে এক তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ মেয়েটাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে।
ইউএইচ/
Leave a reply