একটি কুকুরের সর্বোচ্চ আয়ু ১০ কিংবা বড়জোর ১৫ বছর। অথচ পর্তুগালের প্রত্যন্ত গ্রামে, ১৯৯২ সালের মে মাসে জন্ম নেয়া ববি এখনও বেঁচে আছে! পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বছর বেঁচে থাকা কুকুর হিসেবে তাকে এরইমধ্যে স্বীকৃতি দিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুক। ববির এত বছর বেঁচে থাকাকে অলৌকিক বলছে খোদ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুক কর্তৃপক্ষও। এর আগে, ১৯১০ সালে জন্ম নেয়া অস্ট্রেলিয়ার একটি কুকুর বেঁচে ছিল ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত। ববির আগে, ২৯ বছর ৫ মাস বয়সী সেই কুকুরটি মৃত্যুর এত বছর পর পর্যন্তও ধরে রেখেছিল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী সারমেয় হওয়ার রেকর্ড। সিএনএনের খবর।
ববির মালিক লিওনেল কস্তা বলেন, এই অনুভূতি গর্বের, যা প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নেই। আশপাশের অনেক মানুষই বলেছিল, এমনটা হবে না। মা এবং আমার বিশ্বাস ছিল, আমরা ববির আসল বয়স জানি। আমরা একরকম নিশ্চিত ছিলাম যে, পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ববির বয়স নিয়ে আমরা যেটা জানি সেটাই প্রমাণিত হবে এবং সেটাই হয়েছে।
অথচ জন্মের পরই মৃত্যু হতে পারতো কুকুরটির। মালিক লিওনেল কস্তার বয়স যখন আট তখন জন্ম ববির। কস্তার দরিদ্র শিকারি বাবার কাছে আগে থেকেই অনেক প্রাণী ছিল। তাই নতুন জন্ম নেয়া কুকুরগুলোকে মাটিতে পুঁতে দিতেন তিনি। কিন্তু, কোনোক্রমে কাঠের স্তূপে লুকিয়ে থাকায় বেঁচে যায় ববি। কয়েকদিন পর সেটি খুঁজে পায় কস্তা। এরপর থেকেই তিনি পরম মমতায় প্রাণীটিকে লালন পালন করছেন।
এখন অবশ্য ববির শরীরে বয়সের ছাপ স্পষ্ট। খসে পড়েছে শরীরের অধিকাংশ পশম, কমে গেছে দৃষ্টিশক্তি। কিছু দূর হাটলেই হাঁপিয়ে যাচ্ছে প্রাণীটি। লিওনেল কস্তা বলেন, গোটা জীবনে আমরা কখনই ববিকে খাঁচা কিংবা শেকলে বন্দি করিনি। স্বাধীনতার এ অনুভূতি তার দীর্ঘায়ুর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এছাড়া, অবশ্যই আমাদের স্নেহ-ভালোবাসা তাকে দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকতে সাহায্য করেছে। তবে, তার এই দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার মূল কারণ অবশ্যই সে নিজে।
/এম ই
Leave a reply