রাসেল পাওয়ারে বরিশালকে হারালো কুমিল্লা

|

ছবি: সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টিতে ১২১ রান খুব বড় পুঁজি না। তবে ছোট এই পুঁজিতেই ভালি লড়াই চালিয়েছে সাকিবের বরিশাল। মিরপুর শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশাল এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মধ্যকার হাই ভোল্টেজ ম্যাচে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে ইমরুল কায়েসের দল। প্রথম তিন ম্যাচ হারের পর টানা আট জয় তুলে নিলো দলটি।

কুমিল্লার হয়ে খেলার জন্য আগেরদিন রাতেই ঢাকায় এসে পৌঁছায় সুনিল নারিন এবং আন্দ্রে রাসেল। ব্যাট এবং বল হাতে কুমিল্লার জয়ের নায়কও তারা দু’জন।

১২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে সূচনাটা ভালোই করেছিল কুমিল্লা। যদিও ৬ বলে ১১ রান করে আউট হয়ে যান পাকিস্তানি মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর জাকির আলি আউট হন ১০ রান করে। ৫ রান করেন ইমরুল কায়েস। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আউট হয়ে যান কেবল ১ রান করে।

লিটন দাস ৩৯ বলে খেলেন ৩৬ রানের স্লো ইনিংস। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে খুশদিল শাহ এবং আন্দ্রে রাসেল দলকে জয় এনে দেন। ১৯ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন খুশদিল শাহ এবং ১৬ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন রাসেল। ২টি বাউন্ডারির সাথে ৩টি ছক্কা মারেন তিনি।

এর আগে, প্রথমে ব্যাটে নেমে ২য় ওভারের প্রথম বলেই স্পিনার তানভীরের বলে রিজওয়ানের হাতে কট বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার আনামুল হক বিজয়। ইনিংসের ৪র্থ ওভারে সুনিল নারিনের দারুণ ফিল্ডিংয়ের শিকার হয়ে রান আউট কাটা পড়েন আরেক ওপেনার ফজলে মাহমুদ। ফরচুন বরিশালের রান তখন মাত্র ১৮।

৩য় উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহর সাথে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু, ১২ বলে ৬ রান করা সাকিবকে বোল্ড করে কুমিল্লার টানা ৮ জয়ের সম্ভাবনার শুরুটা করেন মুকিদুল ইসলাম। বিপিএলের ফাঁকে পিএসএলের প্রস্তুতি ম্যাচে ঝড় তোলা ইফতিখার আহমেদও ব্যর্থ ছিলেন এদিন। মাত্র ২ দিন আগেই স্বদেশি ওয়াহাব রিয়াজকে ছয় বলে ছয় ছক্কা হাঁকানো ইফতিখারের ব্যাট থেকে এদিন আসে মাত্র ৪ রান। আন্দ্রে রাসেলের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

একপ্রান্ত থেকে উইকেট আগলে রাখা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আশা দেখিয়েও বেশি দূর যেতে পারেননি। ২৬ বলে ৩৬ রান করা রিয়াদকেও বোল্ড করে ফেরান মুকিদুল। ৬৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন রীতিমত ধুঁকছে ফরচুন বরিশাল।

এরপরই, দলকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন কারিম জানাত আর মেহেদী মিরাজ। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৪৭ রান যোগ করে দলীয় শতক পার করেন এ দুই ব্যাটার। দলীয় ১১১ রানে মুস্তাফিজের বলে মেহেদী মিরাজ নারিনের হাতে ধরা পড়লে ভাঙে বরিশালের প্রতিরোধ। আউট হবার আগে ১৮ বলে মিরাজ করেন ১৭ রান।

১৮তম ওভারে ডাবল স্ট্রাইক করেন মুকিদুল। ওভারের ৩য় বলে ৩৬ রান করা কারিম জানাতকে ফেরানোর পরের বলেই মোহাম্মদ ওয়াসিমকে আউট করে সম্ভাবনা জাগান হ্যাট্রিকের। কিন্তু, খালেদের দৃঢ়তায় আর হ্যাট্রিক পাওয়া হয় না মুকিদুল ইসলামের।

১৯তম ওভারে খালেদের রান আউট আর শেষ ওভারের প্রথম বলে মুকিদুল চাতুরাঙ্গা ডি সিলভাকে উইকেটের পেছনে রিজওয়ানের গ্লাভস বন্দি করলে ১২১ রানে শেষ হয় ফরচুন বরিশালের ইনিংস। মাত্র ১১ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় বরিশাল। একই সাথে এবারের আসরের প্রথম ৫ উইকেট শিকারি হিসেবে রেকর্ড বুকে নাম তুললেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পেসার মুকিদুল ইসলাম।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply