দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া অঞ্চলে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিমানের এক পাইলটকে জিম্মি করেছেন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তিনি নিউজিল্যান্ডের নাগরিক। এখন ওই পাইলটকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে তারা। খবর বিবিসির।
ইন্দোনেশিয়ার পার্বত্য জেলা এনদুগায় অবতরণ করার সময় উড়োজাহাজে আগুন ধরে যায়। এ সময় বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধারা উড়োজাহাজের পাইলট ফিলিপকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। তবে উড়োজাহাজে এক শিশুসহ পাঁচ যাত্রীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দাবি, ইন্দোনেশিয়াকে ওয়েস্ট পাপুয়া প্রদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিতে হবে। পুলিশ বলছে, তারা ঘটনার তদন্ত করছে। তবে এমন ঘটনা ঘটানো সাধারণভাবে খুব কঠিন। কারণ, ওই এলাকায় আকাশপথ ছাড়া অন্য কোনো পথে যাওয়া সম্ভব নয়।
ওয়েস্ট পাপুয়া ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ওই পাইলটকে জিম্মি করে রাখার দায় স্বীকার করেছে। ওয়েস্ট পাপুয়া ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ইন্দোনেশিয়ার একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত।
ওয়েস্ট পাপুয়া ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র সেব্বি সাম্বম বলেন, ইন্দোনেশিয়া যদি সিদ্ধান্তে অটল থাকে এবং ওয়েস্ট পাপুয়া প্রদেশের স্বাধীনতা নিয়ে সমঝোতা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে পাইলটকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে।
নিউজিল্যান্ড সরকার বলছে, তারা পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় তাদের কনস্যুলেট ওই পাইলটের পরিবারকে নানা ধরনের সহায়তা দিচ্ছে।
সুসি এয়ারের উড়োজাহাজটি পার্শ্ববর্তী জেলার তিমিকার খনির শহর থেকে পণ্য নিয়ে যাচ্ছিল। এয়ারলাইনটির প্রতিষ্ঠাতা সুসি পুদজিয়াস্তুতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন, যারা জিম্মি হয়ে আছেন, তিনি তাদের জন্য প্রার্থনা করছেন। ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া অঞ্চলটি সাবেক ডাচ উপনিবেশ। অঞ্চলটি পাপুয়া ও ওয়েস্ট পাপুয়া নামে দুটি প্রদেশে বিভক্ত।
উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সালে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি বিতর্কিত ভোটে অঞ্চলটি ইন্দোনেশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এরপর থেকেই বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর মধ্যে লড়াই সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে।
ইউএইচ/
Leave a reply