তুরস্ক-সিরিয়াজুড়ে ক্ষোভ আর হতাশা, বহু স্থানে পৌঁছায়নি ত্রাণ ও উদ্ধার সরঞ্জাম

|

ছবি : সংগৃহীত

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পের পর ৩ দিন পার হয়েছে। অথচ এখনও বহু এলাকাতেই পৌঁছেনি সাহায্য, যেতে পারেনি উদ্ধারকারী দল। কর্তৃপক্ষ বলছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার পাশাপাশি চলছে তীব্র তুষার ঝড় আর বৃষ্টি। ফলে কঠিন হয়ে উঠেছে উদ্ধারকাজ। খবর রয়টার্সের।

এদিকে সময় যত গড়াচ্ছে ততই কমছে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের জীবিত থাকার সম্ভাবনা। এ অবস্থায় ক্ষোভ আর হতাশা বেঁচে ফেরাদের।

টানা দু’দিন ধরে ধ্বংসস্তূপের সামনে অপেক্ষা করছেন আলেপ্পোর এক তরুণ। বাবা মা চাপা পড়েছেন ধ্বংসস্তূপের নিচে। ভূমিকম্পের পর দীর্ঘ সময় পার হলেও এখনও এখানে পৌঁছায়নি উদ্ধারকারী দল।

তিনি বলেন, আমার পরিবারের সবাই একটি ভবনের নিচে চাপা পড়েছেন। জানি না তাদের কবে বের করা হবে। এখনও এখানে এসে পৌঁছাতে পারেনি উদ্ধারকারী দল। যারা আছে তাদের কাজের গতিও খুব ধীর।

ভূমিকম্পের পর সময় যত গড়াচ্ছে, ততই কমছে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা। ভূমিকম্পের ধাক্কায় ভবন-স্থাপনা ভেঙ্গে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যে এখনও পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বহু এলাকায়। ফলে চোখের সামনে স্বজনদের জীবিত থাকার সম্ভাবনা যতই কমছে, ততই ক্ষোভ আর হতাশা বাড়ছে বেঁচে ফেরাদের মাঝে। একেতো ভূমিকম্পের ধাক্কায় তছনছ সবকিছু, তারপরও বৈরী আবহাওয়া। তুষার ঝড়ের কারণে তীব্র শীতের মধ্যেই হচ্ছে দফায় দফায় বৃষ্টি। পরিস্থিতি কোথাও কোথাও এতটাই নাজুক যে হেলিকপ্টার থেকেও সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না ত্রাণ।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসন-সরকার সবাই ব্যর্থ হয়েছে। তা না হলে ৩ দিন পার হবার পরও কেন আমাদের সামান্য মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে না?

এদিকে, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও দেখা দিয়েছে স্থান সংকুলানের অভাব। এনিয়েও হতাশা গৃহহীনদের কণ্ঠে। তারা বলেন, যেসব ঘরে ৩-৪ জন করে থাকা যায়, সেসব ঘরে থাকতে হচ্ছে ৫-৬ জনকে। পাশে গাড়িতেও অনেকে রাত কাটিয়েছেন। জানি না এসব থেকে মুক্তি পাবো কবে।

এদিকে এমন অবস্থায় অপর্যাপ্ত ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজে ধীরগতির কথা স্বীকার করেছে তুর্কি কর্তৃপক্ষও। তবে দ্রুতই সবকিছু সমন্বয়ের আশ্বাস তাদের।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply