ইউক্রেনে জোরালো হামলার ইঙ্গিত পুতিনের

|

ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমাদের একের পর অস্ত্র সহায়তার জেরে ইউক্রেনে জোরালো হামলার ইঙ্গিত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ড্রোনসহ অত্যাধুনিক অস্ত্র উৎপাদন বাড়ানোরও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ফলে, আসন্ন দিনে যুদ্ধ পরিস্থিতি আবারও জোরালো ও জটিল হবে, বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে, চলমান ইউরোপ সফরে বৃহস্পতিবার ইইউ পার্লামেন্টের ভাষণ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। রুশ আগ্রাসন রুখতে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি। খবর এপির।

ইউরোপ সফরের অংশ হিসেবে ব্রিটেন, ফ্রান্সের পর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দফতরে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। ব্রাসেলসে দেয়া তার বক্তব্যেও উঠে আসে সামরিক সহায়তার ইস্যুটি। রুশ বাহিনীকে প্রতিহত করতে এ সময় যুদ্ধবিমানের দাবি করেন তিনি।

জেলেনস্কি বলেন, ইতিহাসে এই প্রথম ইউরোপীয় ইউনিয়ন এতো বিপুল পরিমাণ পরিমাণ সামরিক সহায়তা দিচ্ছে। আমরা সম্মিলিতভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি। এর মাধ্যমে ইউক্রেন ও ইইউ’র সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। মিত্রদের কাছে প্রত্যাশা, প্রয়োজনীয় যুদ্ধবিমান দিতেও ঐক্যবদ্ধ হবেন আপনারা।

এদিকে, পশ্চিমাদের একের পর এক অস্ত্র সহায়তার ঘোষণায় বেশ চটেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে ড্রোন প্রযুক্তির আধুনিকায়নের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

সাম্প্রতিক এক ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ড্রোন প্রযুক্তি আরও উন্নত করার দিকে নজর দিতে হবে। এ মুহূর্তে এটি আমাদের সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আলোচনা চলছে। সেই সাথে, অত্যাধুনিক এসব অস্ত্র চালনায় পারদর্শী করে তুলতে হবে আমাদের সেনাদের।

পুতিনের সুরেই ইউক্রেনকে হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভও। অত্যাধুনিক রুশ অস্ত্রে দিয়েই পশ্চিমাদের সমুচিত জবাব দেয়া হবে, বলে হুমকি দেন তিনি।

সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, গতকালও ইউরোপীয় নেতাদের কাছে যুদ্ধবিমান, মিসাইল, ট্যাংক চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। আমার মনে হয়, এ মুহূর্তে আমাদের অত্যাধুনিক ট্যাংকসহ অস্ত্র উৎপাদন বাড়াতে হবে। রাশিয়ার যে নিজস্ব অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে তা দিয়েই পশ্চিমাদের এসব অস্ত্র মোকাবেলা করা সম্ভব বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধের বছরপূর্তিতে দেশটিতে জোরালো আগ্রাসন চালাবে রুশ বাহিনী- গেল কয়েকদিন ধরেই জানানো হচ্ছিলো এমন আশঙ্কার কথা। পশ্চিমাদের সামরিক সহায়তার প্রতিক্রিয়ায় পুতিন প্রশাসনের একের পর এক পদক্ষেপে সে আশঙ্কাই এখন স্পষ্ট হচ্ছে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply