চট্টগ্রাম ব্যুরো:
শিবির সন্দেহে মধ্যরাতে ছাত্রাবাস থেকে ডেকে নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৪ শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে নির্যাতনের শিকার চার চমেক শিক্ষার্থীর মধ্যে গুরুতর আহত জাহিদ হোসেন ওয়াকিল ও সাকিব হোসেনকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র-আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে তাদের অবস্থা আশংকাজনক নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। নির্যাতনের শিকার অপর দুই ছাত্র হলেন এস এ রায়হান ও মোবাশ্বের হোসেন। তাদেরকে ঘটনার পর আহত অবস্থায়ই নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে, বলে জানিয়েছেন তাদের সহপাঠীরা। নির্যাতনের শিকার চারজনই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৬২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
আহত চমেক শিক্ষার্থীদের সহপাঠী ও স্বজনদের অভিযোগ, বুধবার রাতে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীরা ওই চার ছাত্রকে মেডিকেল কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসের রুম থেকে থেকে ডেকে অন্য একটি রুমে নিয়ে নির্যাতন করেন। এতে চারজনই আহত হন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে রায়হান ও মোবাশ্বেরকে তাদের গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেও জাহিদ ও সাকিব চমেক হাসপাতালে ভর্তি হন। মূলত, তখনই নির্যাতনের ঘটনাটি জানাজানি হয়। এরপর উত্তেজনা তৈরি হলে ছাত্রাবাসের সামনে ও মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভালো চিকিৎসা এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্যই দুই ছাত্রকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তবে তাদের অবস্থা আশংকাজনক নয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ সক্রিয়। একটি গ্রুপ শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও অপর গ্রুপ সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সমর্থক। আধিপত্য ইস্যুতে চমেক ক্যাম্পাসে ও ছাত্রাবাসে প্রায়ই এ দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘাত সংঘর্ষ হয়ে থাকে। ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় মাহাদি জে আকিব নামের এক ছাত্রের মাথার খুলির হাঁড় ভেঙে গিয়েছিল। যা দেশজুড়ে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। ওই ঘটনার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তারপরও কারা কীভাবে ছাত্রবাসে এ ঘটনা ঘটিয়েছে অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটি তা খতিয়ে দেখবে বলে জানান তিনি।
তবে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই কোনো অভিযোগ বা মামলা করেনি, বলে জানিয়েছে চকবাজার থানা পুলিশ।
/এসএইচ
Leave a reply