ধ্বংসস্তূপ থেকে চারদিন পর ১৮ মাস বয়সী সন্তানকে ফিরে পেলেন বাবা

|

ছবি: সংগৃহীত

ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের মাঝেই প্রতিদিন যেন রচিত হচ্ছে সুখ-দুঃখের কাব্য। কেউ খুঁজে পাচ্ছেন প্রিয়জনের মরদেহ আবার অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই কেউ আপনজনের বেঁচে থাকার খবর পাচ্ছেন। এমনই একজন ব্যক্তি সিরিয়ার বায়েজিদ।

দুর্যোগের পর স্ত্রী ও মেয়ের মৃত্যু নিশ্চিত হলেও দুই ছেলের সন্ধান পাচ্ছিলেন না। আশা যখন একেবারেই ছেড়ে দিয়েছিলেন তখনই পেলেন এক ছেলের খোঁজ। খবর ডেইলি টেলিগ্রাফ’র।

চারদিন পর হাসপাতালে দেখা মেলে প্রিয় সন্তানের। ১৮ মাসের ছোট্ট ছেলে ইব্রাহিমের বেঁচে ফেরা অলৌকিক মনে হয় বায়েজিদের কাছে।

ভূমিকম্পে মুহূর্তেই ধসে পড়ে সিরিয়ার বাসিন্দা বায়েজিদের বাড়ি। গোটা পরিবারই চাপা পড়ে ধ্বংসস্তূপের নিচে। সন্তানদের কান্নার আওয়াজ ভেসে এলেও নিরুপায় ছিলেন বায়েজিদ। টনকে টন কংক্রিটের স্তূপের ভেতর নড়াচড়া করার ক্ষমতাও ছিল না। উদ্ধার হওয়ার পর জানতে পারেন স্ত্রী-মেয়ের মৃত্যুর খবর। নিখোঁজ দুই ছেলেকে জীবিত পাওয়ার আশাও ছেড়ে দিয়েছিলেন।

ইব্রাহিমের বাবা জোমা বায়েজিদ বলেন, আল্লাহকে ধন্যবাদ। যখন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ি, আমি আমার সন্তানের কান্নার শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম, কিন্তু তার কাছে পৌঁছানোর কোনো পথ ছিল না। আমার আরেক ছেলে মোস্তফা এখনও নিখোঁজ। যখন আমাকে উদ্ধার করা হয় তখন মোস্তফাও আমার আশপাশে ছিল। আল্লাহ আমার এক ছেলেকে ফিরিয়ে দিয়েছে। মোস্তফাকেও বাঁচিয়ে রাখুক এই দোয়া করি।

অবশ্য, বেশ নাটকীয়ভাবেই ইব্রাহিম ফিরেছে বাবার কোলে। ক্ষুধার্ত-আহত ছোট্ট শিশুটিকে সিরিয়ার আফ্রিন হাসপাতালে দেখতে পেয়ে এক দম্পতি একটি ভিডিও পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আর সেই ভিডিও দেখেই ছেলেকে খুঁজে পান বায়েজিদ।

ভিডিও পোস্টকারী আতেফ নাহনৌহ বলেন, আমরা এই শিশুটিকে আফরিন হাসপাতালে খুঁজে পাই। শিশুটি একা ছিল, বাবা -মা কেউই পাশে ছিল না। পরে তাকে একটি কলা খেতে দেই। তার খাওয়ার সেই দৃশ্য না দেখলে বোঝা যাবে না কতটা ক্ষুধার্থ ছিল শিশুটি। পরে, আমরা একটি ভিডিও ধারণ করে, তা সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করি যাতে তার পরিচিত কেউ সেটা দেখতে পায়।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply