কাজল কালো শ্যামবর্ণ, তাতেই কাত ভক্তকূল। বলিউডকে সৌন্দর্য্যে মাতিয়ে রাখতেন কাজল। কিন্তু কোথায় গেলো সেই শ্যামবর্ণ? কাজলের এখন পুরোপুরি দুধে আলতা গায়ের রঙ। কীভাবে হলো এমন আকাশ-পাতাল পরিবর্তন? গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে, প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে নিজের গায়ের রঙে পরিবর্তন এনেছেন অভিনেত্রী। আর এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর কম কটাক্ষের শিকার হতে হয়নি নায়িকাকে। অবশ্য এ নিয়ে এতদিন মুখ খোলেননি কাজল। এত বছর পর এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন তিনি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
১৯৯৮ সালে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবিতে কাজলের শ্যামবর্ণেই মেতেছিল হাজারো দর্শক। তবে পরিবর্তনটা লক্ষ্য করা যায় ২০০৬ সালে ‘ফানা’ ছবিতে। ততদিনে বেশ খানিকটা হালকা হয়ে এসেছে গায়ের রঙ। সবশেষ ২০১৫ সালে দিলওয়ালে সিনেমাতে কাজল সামনে এলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মূর্তি নিয়ে। ধবধবে গায়ের রঙ, চোখের চাওনিতে আরও মায়া জড়ানো। এরপর থেকেই চাউর হতে থাকে, প্লাস্টিক সার্জারি করে গায়ের রঙ পাল্টেছেন অভিনেত্রী।
এসব বিতর্ক ও আলোচনার মধ্যে কাজল কখনওই নিজেকে জড়াননি। তবে এত বছর পর এসে এ প্রশ্নের জবাব দিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেছেন কাজল। সেখানে তাকে দেখা যায়, মুখজুড়ে কালো মাস্ক, তার ওপর চশমা পরে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। ক্যাপশনে লেখা, ‘তাদের জন্য, যারা রোজ জিজ্ঞেস করে, কীভাবে এত ফর্সা হলাম। এই ভাবে’।
অর্থাৎ কাজলের দাবি, রোদে ঘোরাঘুরি কমিয়ে ও ত্বকের যত্ন নিয়েই গায়ের রঙে পরিবর্তন এনেছেন তিনি। তবে সে দাবি দর্শক কতটা মেনে নিয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ সম্প্রতি কাজলের মেয়ে নায়সা দেবগনের চেহারাতেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। তারও গায়ের রঙ শ্যামবর্ণ থেকে ফর্সা হয়েছে আচমকা। বলিউড ভক্তরা বলছেন, মায়ের মতো মেয়েও প্লাস্টিক সার্জারি করে রঙ বদলেছে। তবে কাজলের দাবি, নায়সা খুব স্বাস্থ্য সচেতন। তবে ত্বকের রঙ নিয়ে এত আলাপে কাজলের প্রতি যে ভক্তদের ভালোবাসা কমেনি সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এসজেড/
Leave a reply