কাগুজে মলাটে অনীহা, পেপারব্যাক বইয়ের চাহিদা বেশি

|

তানভীর মৌসুম:

বইয়ের মলাটে মূলত দুটো ধরন। একটা কাগুজে মলাট, আরেকটা শক্ত বোর্ডের। যা পেপারব্যাক ও হার্ডকভার হিসেবেই পরিচিত। একটা সময় পেপারব্যাক বা কাগুজে মলাটের চল থাকলেও কালের পরিক্রমায় তা হারাতে বসেছে। পাঠকের হাতে বই তুলে দেয়ার আগে এই মলাট নিয়েও ভাবতে হয় লেখক-প্রকাশককে। যার সাথে জড়িত পাঠকের রুচিও।

তবে সম্প্রতি খরচের বিষয়টিও সামনে আসছে। কাগজের তৈরি মলাট না শক্ত বোর্ড বাধাই, এ নিয়েও রয়েছে নানা বিতর্ক। বইমেলায় সেসব প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন যমুনা নিউজ।

কয়েকজন লেখক জানালেন, দুইটি মলাটের মধ্যে খরচের তুলনা খুব বেশি না; একটু এদিক-ওদিক। এরপরও প্রকাশকেরা যেতে হার্ডকভারে যেতে চাচ্ছেন না। পেপারব্যাক নয়, হার্ডকভারের প্রতিই তাদের আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন তরুণ লেখকেরা।

যাদের জন্য বই, সেসব পাঠকদের কাছে কাগুজে মলাটের চাহিদায় আছে তারতম্য। বইমেলায় পাঠকেরা বললেন, শক্ত যে মলাট, সেটি দেখতে সুন্দর, ভালো লাগে।

পাঠকদের চাহিদার ওপর নির্ভর করে যাদের ব্যবসা সেই প্রকাশকরা কাগুজে মলাট নিয়ে কী বলছেন? বললেন, বাংলাদেশের পাঠকেরা বই পড়ার চেয়ে সাজিয়ে রাখতে বেশি পছন্দ করে। তাই শক্ত মলাট পছন্দ তাদের।

এর মাঝেও আছে ব্যতিক্রম। স্রোতের বিপরীতে প্রকাশনা সংস্থা কালো আট বছর ধরে জড়িত পেপারব্যাক বই প্রকাশনার সাথে। প্রকাশনীটির প্রকাশক শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ বলেন, আমি নিজে পেপারব্যাকের ভক্ত। যখন প্রকাশনী করলাম, তখন পেপারব্যাকের দিকে গুরুত্ব দিলাম। যদিও এটা এই দেশে নিষ্ঠুর একটা সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমি সংগ্রাম করছি। পেপারব্যাকের কারণে আমি আলাদা কিছু পাঠক পাচ্ছি। যারা কেবল আমারই পাঠক।

পাঁচ যুগ ধরে পেপারব্যাক বইয়ের জগতে একচেটিয়া রাজত্ব সেবা প্রকাশনীর। কাগজের দাম বৃদ্ধি এবারের মেলায় তাদের বড় চ্যালেঞ্জ।

সেবা প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক মমিনুল ইসলাম বলেন, বইয়ের দাম বাড়ালে পাঠকরা একটু মন খারাপ করেন। কাগজের দাম বাড়ায় কয়েকম মাস ধরে একটু সমস্যা যাচ্ছে।

কাগজের দাম বেড়ে গেলেও প্রকাশকদের চেষ্টা থাকে বইয়ের মূল্য যতটা সম্ভব কম রাখার। আর এখানেই পেপারব্যাক বইয়ের নতুন সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply