সাইফুল ইসলাম:
পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে উপলক্ষে রাজধানীতে চলছে রমরমা ফুলের ব্যবসা। যদিও ক্রেতারা বলছেন ফুলের দাম চড়া। পাইকারী ও খুচরা পর্যায়ে দামের পার্থক্যের জন্য মধ্যসত্ত্বভোগীদের দুষছেন ব্যবসায়ীরা। তবে উৎসবকে কেন্দ্র করে খালি হাতে ফিরছেন না কেউ। ফেব্রুয়ারি মাসের তিন বিশেষ দিবসে দেশব্যাপি ৩শ’ কোটি টাকার বেশি ফুল বিক্রির আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সের মানুষ মেতে উঠেছে বসন্ত বরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের আয়োজনে। ফুল ছাড়া এমন উৎসব যেন বড্ড বেমানান! আর এ কারণেই চাঙা ফুলের বাজার। কেউ সাজতে, আবার কেউ প্রিয়জনকে সাজাতে ফুলের দোকানে ভিড় করছেন। উপহার দিতেও বাড়ছে ফুলের কদর। তবে ক্রেতারা বলছে, ফুলের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ।
কয়েক বছর আগেও দেশে ফুলের বাজারে হাতেগোনা কয়েক ধরনের ফুল পাওয়া যেতো। বর্তমানে দেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ বেশি হওয়ায় এবং আমদানি করায় বাহারি রঙের ফুল পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে জারবারা, গ্লাডিওলাস, অর্কিড, কসমস, ডালিয়া, টিউলিপ, কালো গোলাপ, ঝুমকা লতা, গাজানিয়া, পামেরিয়া, চন্দ্রমল্লিকা অন্যতম। খুচরা পর্যায়ে একটি গোলাপ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৫০-১০০ টাকা, আর গ্লাডিওলাস বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। যদিও পাইকারি পর্যায়ে একটি দেশি গোলাপ ১৫ আর চায়না গোলাপ ৪০ টাকা, গ্লাডিওলাস স্টিকের দাম ১৫ টাকা, রজনীগন্ধা ১২ টাকা।
প্রতিদিন শুধু রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে প্রায় ২০-৩০ লাখ টাকার ফুল কেনাবেচা হয়। পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসে রাজধানীতে ৭০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা ব্যবসায়ীদের। দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে একজন ফুল ব্যবসায়ী বলেন, এমন সময় থাকে যখন আমরা ফুল বিক্রি করতেই পারি না। উৎপাদন খরচও উঠে আসে না। বিশেষ দিনগুলোতে উৎপাদনকারী থেকে খুচরা ব্যবসায়ী পর্যন্ত হাত থেকে হাতে ঘুরতে ঘুরতে পণ্যের দাম অতিরিক্ত হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: আজ ভালোবাসার বসন্ত, ছোঁয়া যেন লেগেছে নাগরিক জীবনে
/এম ই
Leave a reply