ইসরায়েলি প্রযুক্তি ব্যবহারে তুরস্কে সহজ হয়ে উঠছে উদ্ধার কাজ

|

ইসরায়েলি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সহজ হয়ে উঠেছে তুরস্কে উদ্ধার কাজ। ভূমিকম্পে সৃষ্টি ধ্বংস্তূপের মধ্যে প্রবেশ করানো হচ্ছে বিশেষ ড্রোন। এছাড়াও ব্যবহৃত হচ্ছে থার্মাল ইমেজিং সেন্সর। যাতে ধ্বংস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের খুঁজে বের করা যাচ্ছে সহজেই। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে ইসরায়েলের তিনটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তুরস্কের উদ্ধারকর্মীদের সাথে কাজ করছে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

এসব ড্রোন শুধুমাত্র তুরস্কের ভূমিকম্পে উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য তৈরি করেছে ইসরায়েলি একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। ধ্বংস্তুপের ফাকফোকর দিয়ে খুব সহজেই যেন প্রবেশ করতে পারে এটি সেই ডিজাইনে তৈরী করা হয়েছে ড্রোনটি।

ইসরায়েলের প্রযুক্তিবিদ রুবিন গ্রস বলেন, হঠাৎই আমাকে অফিস থেকে ফোন করে বলা হয় ভবন স্ক্যান ও থার্মাল ইমেজের যেসব যন্ত্র আমরা তৈরি করেছি সেগুলো নিয়ে প্রস্তুত হতে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমরা সেগুলো নিয়ে বিমানে উঠি। পরে জানতে পারি, ভূমিকম্পে উদ্ধার কাজের জন্য এসব যন্ত্র প্রয়োজন। এরপর সেসব যন্ত্র ড্রোনের সাথে সংযুক্ত করে কাজ শুরু করি।

তুরস্কে উদ্ধারকর্মীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্বল অবকাঠামোর স্থাপনা। ধ্বংস্তুপ সরাতে গেলেই উদ্ধারকারীদের ওপর ভেঙে পড়ছে এসব কাঠামো। সেই সংকট সমাধানে এসব ধ্বংস্তুপ কিংবা কাঠামোর দুর্বলতা খুঁজে বের করতে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ব্যবহার করছে ইসরায়েলিরা। থার্মাল ইমেজের মাধ্যমে বের করা হচ্ছে ধ্বংস্তুপের নিচে চাপা পড়াদের অবস্থান।

রুবিন গ্রস আরও বলেন, ধ্বংস্তুপের মধ্যে দিয়ে ড্রোন চালানো খুবই কঠিন কাজ। কিন্তু এটা জরুরি কারণ, এসব ফাঁকফোকর দিয়ে ড্রোন পাঠিয়ে আমরা বুঝতে পারি যে ধ্বস্তুপের নিচে কেউ বেঁচে আছে কিনা। যেখানে কোনো ক্যামেরা কিংবা উদ্ধারকারী যেতে পারেন না সেখানে এসব ড্রোন সহজেই প্রবেশ করতে পারে।

ইসরায়েলের প্রযুক্তিবিদ ট্যালর আমাসি বলেন, কয়েক ধাপে কাজ করছি আমরা। প্রথমত স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ধ্বংস্তুপ চিহ্নিত করা হচ্ছে। এরপর দেখা হচ্ছে, সেখানে কোনো কোনো কাঠামো দুর্বল। তারপর বের করা হচ্ছে এসবের নিচে আটকে পড়া কেউ আছে কিনা। আর এ কাজের জন্য ব্যবহার কর হচ্ছে থার্মাল ইমেজ সিস্টেম ও স্ক্যানার।

সংবেদনশীল বিভিন্ন যন্ত্রের জন্য ইসরায়েলি প্রযুক্তি সুখ্যাতি বিশ্বজোড়া। ভূমিকম্পে উদ্ধার কাজেও শুরু থেকেই এসব উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে দেশটির উদ্ধারকারীরা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply