আলমগীর হোসেন:
সিঙ্গাপুরে কর্মী প্রেরণে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে ৪টি রিক্রুটিং এজেন্সি। দেশটির বিল্ডিং কন্সট্রাকশন অথরিটির অনুমোদন না থাকার পরও ওয়েলটেক টেস্ট সেন্টারের মাধ্যমে কর্মী পাঠানো হয়েছে। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটির) তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
অনিয়মের আশ্রয় নেয়া রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো হলো— গাজীপুর এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, আল জান্নাত ওভারসীস, আরএক্স ইন্টারন্যাশনাল ও ওয়েলটেক এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস। ৪ এজেন্সিকে কারণ দর্শানের নোটিশ দিয়েই দায় সেরেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এরমধ্যে, গেলো ৫ বছরে ২৩ হাজারের বেশি কর্মী পাঠিয়েছে অভিযুক্ত গাজীপুর এয়ার ইন্টারন্যাশনাল। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে প্রতিষ্ঠানটির রাজধানীর বনানী অফিসে গেলেও মালিককে পাওয়া যায়নি। পরিস্কার করে কিছু জানাতে পারেননি কর্মচারীরাও।
আর চার প্রতিষ্ঠান মিলে দেশটিতে প্রায় ৬৭ হাজার কর্মী পাঠিয়েছে। তবে এখন সিঙ্গাপুরে কর্মী প্রেরণ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারীরা।
এদিকে, এজেন্সিগুলোর বিষয়ে তদন্ত করে অনিয়মের প্রমাণ পেলে বিএমইটি প্রতিবেদন পাঠায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অনিয়মে জড়িত রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর মাইগ্রেশন স্ট্যাডিজের সমন্বয়ক ড. জালাল উদ্দিন শিকদার বলেন, আমাদের যেসব স্থিতিশীল বাজার রয়েছে, যেমন দুবাই, সিঙ্গাপুর— এসব বাজারে কর্মীরা উচ্চ বেতন পেয়ে থাকেন। আমরা চাই না এসব বাজার অস্থিতিশীল হোক। একদিকে, কারা অবৈধভাবে লোক পাঠাচ্ছে এ বিষয়ে সরকারকে তদারকি করতে হবে। তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
প্রবাসী বল্যাণমন্ত্রী জানিয়েছে, অভিযুক্ত একটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ২ বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ৪টি এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের বড় শ্রমবাজার। এটি যেন কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে গুরুত্ব দেয়ার কথা জানিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
/এমএন
Leave a reply