সিলেটের প্রথম নাকি কুমিল্লার চতুর্থ

|

ছবি: সংগৃহীত

বিপিএলের শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স। প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যেই মাঠে নামবে সিলেট। জানিয়েছেন দলটির হয়ে দারুণ ফর্মে থাকা নাজমুল শান্ত। অন্যদিকে, মাইন্ড গেমে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে আরও একবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে চান কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।

শের-এ-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় শুরু হবে শিরোপা নির্ধারণী লড়াই। বিপিএলে এখন পর্যন্ত শিরোপা জেতা হয়নি সিলেটের। এবার মাশরাফীর নেতৃত্বে বদলে যাওয়া দলটি রীতিমতো চমক দেখিয়ে নিশ্চিত করেছে ফাইনাল। নিজেদের ফিরে পাওয়ার গল্প রচনা করেছেন নাজমুল শান্ত-তৌহিদ হৃদয়রা। তাই শেষটা রঙিন করার স্বপ্নে বিভোর সিলেট স্ট্রাইকার্স।

ছবি: সংগৃহীত

ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, আশা করছি ফাইনাল ম্যাচটা ভালো হবে। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে সিলেটের দর্শকরা মাঠে আমাদের যে সাপোর্ট দিয়ে এসেছে আশা করি ফাইনাল ম্যাচেও একইভাবে আমাদের সাপোর্ট দিবে, তাদের সমর্থন আমাদের অনেক সাহায্য করে। পুরো টুর্নামেন্টে ভালো উইকেট ছিল, আশা করছি ফাইনাল ম্যাচেও ভালো একটা উইকেট হবে। যাই হোক, কাল একটা উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ হবে।

ভিন্ন দলের হয়ে তৃতীয় বিপিএল ফাইনাল খেলতে যাচ্ছেন নাজমুল শান্ত। সবশেষ আসরে ফিরতে হয়েছিল শূন্য হাতে। এবার সিলেটের হয়ে সেই আক্ষেপ ঘুচানোর লক্ষ্য বাঁহাতি এই ওপেনারের।

শান্ত আরও বলেন, গত দুইটা ফাইনাল হেরেছি। কিন্তু আমার কাছে আরেকটি সুযোগ এসেছে যে, আমরা কতটা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি তাই এটাই আশা থাকবে যে, ভালো ক্রিকেটটা খেলে যেনো ম্যাচটা জিততে পারি। এটাই এখন মূল লক্ষ্য। কিন্তু বিশেষ এই দিনটিতে ভালো খেলতে হবে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে ব্যক্তিগত পারফরমেন্সের থেকে দলের জয়টা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং শিরোপা জিততে পারলে আমার নিজের জন্যও ভালো। কেননা, আমি ওই দলের একজন অংশ হিসেবে ছিলাম এটা ভবিষ্যতে বলতে পারবো।

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস কিছুটা নির্ভার থাকলেও প্রতিপক্ষকে সমীহের চোখেই দেখছেন তিনি। নারিন, রাসেল, মঈন আলীদের মতো বিদেশি তারকাদের নিয়ে স্বস্তির একদল। তবে ইমরুল জানালেন ভিন্ন কথা। মাইন্ড গেমে হারাতে চান মাশরাফীর সিলেটকে।

ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ইমরুল কায়েস বলেন, প্রতিটা দলেরই ক্যাপ্টেন থাকে এবং প্রতিটা দলেরই একটা আলাদা প্ল্যান থাকে। মাশরাফী ভাই তাদের দলটাকে খুব ভালোভাবে পরিচালিত করেছে এবং এখনও করে যাচ্ছে। তাদের দলে অনেক ভালো ক্রিকেটার আছে। তারা ভালো খেলেই ফাইনালে এসেছে। আমরা তাদের সমীহ করি। তাদের দলটি শক্তিশালী তবে, আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে তাহলেই জয়টা সম্ভব।

ইমরুল কায়েস আরও বলেন, আমাদের একাদশে কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভবনা নেই। শেষ দুই ম্যাচ যারা খেলেছে ফাইনালে তারাই খেলবে। ক্রিকেট খেলা একটি দলগত খেলা এখানে ম্যাজিক বলতে কিছু নেই। দল যদি ভালো খেলতে থাকে তাহলে ফলাফল বের হয়ে আসবে এটাই স্বাভাবিক।

গ্রুপ পর্বে প্রথম তিন ম্যাচ হার দিয়ে বিপিএলের যাত্রা শুরু হয় কুমিল্লার। তবে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি এই সিলেট’কেই দু’বার হারানোর সুখস্মৃতি রয়েছে দলটির।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply